gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
ফেসবুক প্রতারণার শিকার শিক্ষিকা, ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক আটক
প্রকাশ : সোমবার, ৫ জুলাই , ২০২১, ০৯:১২:৫৩ পিএম
বিশেষ প্রতিনিধি:
1625500345.jpg
নিজেকে জার্মান প্রবাসী বলে জাহির করে ফেসবুকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে স্কুল শিক্ষিকার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতানোর ঘটনায় আলোচিত এক প্রতারককে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা। প্রতারকের কাছ থেকে নগদ দুই লাখ টাকা ও প্রতারণার সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। প্রতারকের নাম প্রদীপ কুমার ঘোষ ওরফে সঞ্জিত ওরফে সৌমদীপ ঘোষ ওরফে সুশান্ত ঘোষ। তিনি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ঘোষনগর গ্রামের সুবোধ ঘোষের ছেলে। তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, প্রতারক প্রদীপ কুমার ঘোষ ওরফে সঞ্জিত ওরফে সৌমদীপ ঘোষ ওরফে সুশান্ত ঘোষ তার ফেসবুক আইডিতে নিজেকে একটি বড় কোম্পানির সত্ত্বাধিকারী জার্মান প্রবাসী পরিচয় দিয়ে জমি কেনার কথা বলে। এসময় তার প্রতারণার ফাঁদে পড়েন মণিরামপুর উপজেলার কাটাখালি প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রীতা রাণী দাস। প্রতারণার ফাঁদে ফেলে তার কাছ থেকে প্রতারক প্রদীপ কুমার ঘোষ (৫১) ২০২১ সালের বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে ক্যাশে, বিকাশে এবং চেকের মাধ্যমে ২০ লাখ ৩০ হাজার হাতিয়ে নেন। নিজেকে বিশাল বড় মাপের ধনী বলে নানা পরিচয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতে প্রতারক। এক পর্যায়ে জমির দলিল তৈরি করার নামে প্রধান শিক্ষিকার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ২ কপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি ৩ কপি, নন জুডিশিয়াল ব্লাঙ্ক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর, স্বাক্ষর সম্বলিত ব্লাঙ্ক চেক ৩টি নিয়ে যায় প্রতারক। হাতিয়ে নেয়া টাকা ও স্বাক্ষরিত খালি নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প, চেকের স্বাক্ষরিত পাতা, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে রিতা রানী দাস ৩ এপ্রিল যশোর কোতোয়ালি থানায় হাজির হয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন। মামলাটি স্পর্শকাতর হাওয়ায় যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার মামলাটির তদন্তভার দেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিস ইনচার্জ সোমেন দাসের কাছে। যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশ জানিয়েছেন, ৩ এপ্রিল থানায় মামলাটি করার পর পুলিশ সুপার তাকে মামলাটির তদন্তভার দেন। তিনি তদন্ত করে জানতে পারেন ঘটনাটি সত্য। এরপর আসামির অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে যশোর গোয়েন্দা পুলিশের চৌকস টিমের সদস্য পুলিশ পরিদর্শক রুপম কুমার সরকার, এসআই মফিজুল ইসলাম, এসআই চন্দ্র কান্ত গাইন, এসআই শামীম হোসেনকে ৪ জুলাই রাতে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ঘোষনগর গ্রামে অভিযানে পাঠানো হয়। সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে  ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। তার হেফাজত থেকে প্রধান শিক্ষিকার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ২ কপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি ৩ কপি, নন জুডিশিয়াল ব্লাঙ্ক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর, স্বাক্ষর সম্বলিত ব্লাঙ্ক চেক ৩ টি উদ্ধার করা হয়েছে। ৫ জুলাই দুপুরে রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমান তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

আরও খবর

🔝