প্রকাশ : রবিবার, ৬ জুন , ২০২১, ০৫:৩০:১৯ পিএম
চট্টগ্রাম উপকূলে প্রবল জোয়ারের ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলীয় উপজেলা বাঁশখালীর বেশকিছু বেড়িবাঁধ। লোকালয়ে পানি ঢুকে মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নষ্ট হয়ে গেছে ফসলি জমি। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বেড়িবাঁধের ঠিকাদার হওয়ায় দায়সারা কাজ করেও জবাবদিহি করতে হয় না তাদের।ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তেমন প্রভাব পড়েনি চট্টগ্রামের বঙ্গোপসাগর উপকূলে। তারপরও উপকূলীয় উপজেলা বাঁশখালীর খানখানাবাদে বেড়িবাঁধে জোয়ারের পানির তোড়ে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ। জিও ব্যাগ ছিঁড়ে ধসে যায় মাটি ও সিসি ব্লক। ঢুকে পড়ে লোকালয়ে পানি। ভেসে যায় ফসলি জমি।এলাকাবাসীর অভিযোগ, বেড়িবাঁধের ঠিকাদারির প্রতিষ্ঠানের কাজ পায় স্থানীয় চেয়ারম্যান। দুর্বল ও নিম্নমানের কাজের কারণে এক বছর না যেতেই ভেঙে বেহাল দশা বেড়িবাঁধটির। একই অবস্থা অন্যান্য বেড়িবাঁধেরও।চেয়ারম্যান বদরউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার পরও মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।তবে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলোর কাজের মান নিয়ে ভিন্ন কথা বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী অনুপম দাম।তিনি আরো বলেন, সাগরটা ক্রমাগতভাবে এগিয়ে আসছে আমরা আগের সেই নকশার থাকতে পারব না। এখানে আমাদের নতুন নকশা করতে হচ্ছে। উপকূলীয় উপজেলা বাঁশখালীর খানখানাবাদ, ছনুয়া, সাধনপুর ও পুকুরিয়ায় ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ৫ থেকে ৬টি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে যায়।