gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
২ লাখ টাকার কম সঞ্চয়পত্রে টিআইএন লাগবে না

❒ জাতীয় বাজেট

প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ৩ জুন , ২০২১, ০৬:৫৬:৩৫ পিএম
ঢাকা অফিস:
1622725038.jpg
আগামী অর্থবছর (২০২১-২২) থেকে দুই লাখ টাকার কম অর্থের সঞ্চয়পত্র কিনতে ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (টিআইএন) সার্টিফিকেট লাগবে না। বর্তমানে ৫০ হাজার টাকার অধিক অর্থের সঞ্চয়পত্র কিনতে টিআইএন সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। যা চলতি বাজেটে শিথিল করা হলো।বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বাজেট বক্তৃতায় এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হওয়া অধিবেশনে ছিলেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেন, দুই লাখ টাকার ঊর্ধ্বে সঞ্চয়পত্র ক্রয় এবং পোস্টাল সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে টিআইএন গ্রহণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়াও করের আওতা সম্প্রসারণে বাড়ির নকশা অনুমোদনে ও সমবায় সমিতির রেজিস্ট্রেশনে টিআইএন জমা দিতে হবে।জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট অর্থাৎ আগামী ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের আকার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।এবারের বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। এই ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে এক লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা।চলতি বাজেটে অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ। অনুদান বাদ দিলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ খাতের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকার ঋণ নেবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। আর জাতীয় সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেবে ৩২ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য খাত থেকে নেওয়া হবে পাঁচ হাজার এক কোটি টাকা।বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৭ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা।বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭.২ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতি ৫.৩ শতাংশের মধ্যে সহনীয় পর্যায়ে রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।চলতি বছরের বাজেটে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে জীবন ও জীবিকা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, কর্মসংস্থান, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কৃষি খাতে। স্থানীয় শিল্প সুরক্ষায় দেয়া হয়েছে বিশেষ ছাড়। এছাড়া ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের বাস্তবায়ন, কৃষি খাত, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনাকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়। অর্থবছরের পুরো সময়ে থাকছে সরকারের নানা ধরনের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি, বাড়ানো হয়েছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা। এটি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের দায়িত্ব কালের তৃতীয় বাজেট, আওয়ামী লীগ সরকারের ২১তম এবং বাংলাদেশের ৫০তম বাজেট।প্রসঙ্গত, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথমবারের মতো বাজেট ঘোষণা করেন তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৭২ সালের ৩০ জুন ঘোষণা করা সেই বাজেটের আকার ছিলো ৭৮৬ কোটি টাকা। স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশের বাজেটের আকার বেড়েছে ৭৬৭ গুণ।এ পর্যন্ত সর্বমোট ৪৯টি বাজেট উত্থাপন করেছেন ১২ ব্যক্তি। এর মধ্যে একজন রাষ্ট্রপতি, ৯ জন অর্থমন্ত্রী ও দু’জন অর্থ উপদেষ্টা।ব্যক্তি হিসেবে সবচেয়ে বেশি ১২টি করে বাজেট উত্থাপন করেছেন প্রয়াত এম সাইফুর রহমান এবং আবুল মাল আবদুল মুহিত। এর মধ্যে আবুল মাল আবদুল মুহিত আওয়ামী লীগের হয়ে রেকর্ড টানা ১০টি বাজেট উপস্থাপন করেন।

আরও খবর

🔝