gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ চৈত্র ১৪৩০
gramerkagoj
ভারতীয় ভিক্সল তৈরি হচ্ছে যশোর শহরের নীলগঞ্জে !
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ৩ জুন , ২০২১, ১২:২৮:০০ এ এম
আশিকুর রহমান শিমুল : :
1622658525.jpg
ভারতের নাম করা ব্র্যান্ডের নকল ভিক্সল তৈরি হচ্ছে যশোর শহরের নীলগঞ্জ সুপারি বাগান এলাকায়। মোটরপার্টস ব্যবসার আড়ালে নুর ইসলাম নামে এক ব্যক্তি নিজ বাড়ির ছাদে গড়ে তুলেছেন নকল ভিক্সল কারখানা। ইচ্ছেমতো সব ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক উপাদান মিশিয়ে তৈরি করছেন টাইলস ও টয়লেট ক্লিনার ভিক্সল। কারখানায় ব্যবহৃত এসিডসহ অন্যান্য পদার্থ ফেলে রাখা হচ্ছে ছাদে। কারখানার নেই কোনো অনুমোদন, নিয়োগ দেয়া হয়নি স্বীকৃত কেমিস্টও।সূত্র জানায়, নুর ইসলাম একজন মোটর পার্টস ব্যবসায়ী। আইচার অটো নামে আরএন রোডে একটি দোকান আছে তার। দু’ বছর আগে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে নিজ বাড়িতে খুলে বসেন নকল ভিক্সল কারখানা। রাতের আঁধারে শুধুমাত্র পানি ও অ্যাসিড দিয়ে তৈরি হচ্ছে ভিক্সল। ঢাকা থেকে কেনা হচ্ছে বোতল ও স্টিকার। বোতলের লেবেলে ব্যবহার করা হচ্ছে নুর কেমিক্যাল কোম্পানির নাম। সব মিলিয়ে এক বোতল ভিক্সল তৈরি করতে খরচ হচ্ছে পাঁচ-ছয় টাকা। ওই ভিক্সল বাজারজাত করা হচ্ছে ৩৩-৩৪ টাকায়। এতে করে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন।  সোমবার দুপুর ১ টা ৫৮ মিনিটে ক্রেতা সেজে ভিক্সল কিনতে নুর ইসলামকে ফোন করলে তিনি তার বাড়িতে যেতে বলেন। বাড়ির সামনে গিয়ে তাকে আবারও ফোন করলে জানান, তিনি বাড়িতে নেই। গেটের সামনে দাঁড়াতে, তার স্ত্রী এসে গোডাউনে নিয়ে যাবেন। সেখান থেকে ইচ্ছেমতো মালামাল কেনা যাবে। কিছু সময় পর বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে সাত-আট বছরের একটি শিশু মেয়ে। সে জানায়,তার বাবা বাড়িতে নেই। তার সাথে ছাদে যেতে বলে। সেখানে গেলে ভিক্সল পাওয়া যাবে। তিন তলার ছাদে গিয়ে দেখা যায় থরে থরে সাজানো কার্টন ভর্তি ভিক্সল। দাম জানতে চাইলে জানানো হয় প্রতি পিছ পড়বে ৩৪ টাকা। অথচ বোতলের গায়ে লেখা মূল্য ১২০ টাকা। ছাদের এক পাশে একটি টিনের ছাউনির নীচে কারখানাটি। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল ভিক্সল তৈরির নানা যন্ত্রপাতি। ভিক্সল কারখানা সম্পর্কে জানতে চাইলে নুর ইসলাম বলেন, তিনি কোনো ভিক্সল তৈরি করেন না। দু’বছর আগে ছোট একটি কারখানা ছিল। বর্তমানে তিনি এ ব্যবসা করেন না। এখন তিনি শুধু মোটর পার্টসের ব্যবসা করেন।  

আরও খবর

🔝