gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ চৈত্র ১৪৩০
gramerkagoj
ভাগাড়ের মাল সাবাড়ে!
প্রকাশ : বুধবার, ২ জুন , ২০২১, ০৮:৫৫:২৯ পিএম
:
1622471086.jpg
কাল এক মুরুব্বী আমারে কলে, শগুন নিয়ে চিটি লিকিচাও ভালো কতা, কিন্তুক শগুনগের কোন খোজ খবর রাকো। তার এই মারেফতি কতা শুইনেই বুজলাম কতার মদ্দি বস্তুু আচে। তাই না চটায়ে তারে আস্তের কইরে কলাম চাচা আমি মুক্কুসুক্কু মানুস তুমি জানো। শগুনগের খোজ আমি কনতে পাবো! যদি তুমার জানা থাকে তালি কইয়ে ফেলো। তিনি কলেন, শগুনগের একন কনে পাবি, তাইগের তো মহাদুদ্দিন যাচ্চে। এই কতা শুইনে আরো থ’মাইরে গেলাম। কি কতি চাচ্চে ঝাইড়ে কাইশতেচে না। আমি তারে বিনয় কইরে কলাম চাচা, কি কইরে বুইজলে যে তাইগের দুদ্দিন যাচ্চে, কোন তলশুড়া খবর পাইচাও? চাচা কলে শোন, আমাগের সুমায় কিচু দূর পর পর ভাগাড় চোকি পইড়তো। ভাগাড়ে লোকজনের গরু ছাগল হাস কুকড়ো মল্লি স্যানে ফেলায় থুইয়ে যাইতো। সেই মরা খাওয়ার জন্যি শগুন পইড়তো। এলেকার শগুনে খাইয়ে সাবাড় কত্তি না পাল্লি শগুন হাইয়েরে আইসতো মরা চুয়া করার জন্যি। আকাশে শগুন উড়া দেকলিই মানুস টের পাইতো কোনটোয় মরা পইড়েচে। তিনি আমার দিকি তাগায়ে কলেন, ক’দিনি, একন কোন কোন জাগায় ভাগাড় আচে। এই পোশ্ন শুইনে চোকি আন্দার দেকার মতো দশা। হালি কইরে আশপাশের কোনটোয় তো ভাগাড় চোকি দেকা তো দূরি থাক, কল্পনাতেও আইসতেচে না। ঝামেলী না কইরে আমি তার কাচে স্যালেন্ডার কল্লাম। কলাম, চাচা আমার তো কোন ভাগাড়ের কতা মনে আইসতেচে না। সবশেষ কবে কনে দেকিচি সিডাও মনে আইসতেচে না। তুমি এট্টু কইয়ে দিবা। চাচা দুক্কু কইরে কলে, মনে আইসপে কনতে, একন ভাগাড় থাকলিতো!আমি তারে পাল্টা পোশ্ন কল্লাম মরা গরু ছাগল হাস কুকড়ো তালি কনে ফ্যালচে লোকে? চাচা মিচকি হাইসে কলে, এই সব একন ভাগাড়ে ফেলা লাগেনা। ভাগাড়ের মাল সব চালান হইয়ে যাচ্চে হোটেলে হোটেলে। ককনো সুমকি দিয়ে, ককনো রাত্তিরির আন্দারে তলশুড়া কইরে। কুমা দামে এই সব ভাগাড়ের মাল পাইয়ে হোটেলয়ালারাও খুশী। না জানতি মানুস পুচা বুড়োয় খাইয়েও যাচ্চে। তার কতা শুইনে আকাটা মাইরে গিলাম। ইতি-অভাগা আক্কেল চাচা০১৭২৮৮৭১০০৩

আরও খবর

🔝