gramerkagoj
শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
পিতার বিরুদ্ধে মেয়ের মামলা
প্রকাশ : বুধবার, ২ জুন , ২০২১, ০৮:৪০:১৫ পিএম
কাগজ সংবাদ:
1622645760.jpg
যশোরের মণিরামপুরে মেয়ের ভ্রুণ নষ্টের অভিযোগে পিতাসহ তিনজনকে আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার লেবুগাতি গ্রামের আব্দুল মজিদের স্ত্রী হুমাইরা আক্তার অন্তিকা বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গৌতম মল্লিক অভিযোগ তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলেন,লেবুগাতি গ্রামের  সন্দ্বীপ অধিকারী, মৃত তারাপদ দাসের ছেলে সুবোধ কুমার দাস ও মৃত নিরাপদ অধিকারীর ছেলে পরিতোষ অধিকারী।মামলার অভিযোগে জানা গেছে, লেবুগাতি গ্রামের আব্দুল মজিদ একই গ্রামের সন্দ্বীপ অধিকারীর মেয়ে হুমাইরা আক্তার অন্তিকাকে প্রাইভেট পড়াতেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অন্তিকা গত ২৫ মার্চ স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ ও ২৬ মার্চ আব্দুল মজিদকে বিয়ে করে। এরপর তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে থাকে। অন্তিকার গর্ভে সন্তান আসে। এ সংবাদ জানতে পেরে তার পিতা চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। গত ১০ এপ্রিল আব্দুল মজিদ ও তার ভাইকে আসামি করে মণিরামপুর থানায় অপহরণের অভিযোগে মামলা করে তার পিতা। পুলিশ অন্তিকাকে উদ্ধার করে জবানবন্দি গ্রহণের জন্যে আদালতে সোপর্দ করে। অন্তিকা তার জবানবন্দিতে আব্দুল মজিদ তাকে অপরহণ করেনি, সে  স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তাকে বিয়ে করেছেন বলে জানায়। এরপর অন্তিকার পিতা তাকে জোর করে বাড়িতে নিয়ে যায়। অন্তিকাকে জোর করে পুনঃরায় হিন্দু ধর্মে দিক্ষিত ও ২৮ এপ্রিল আব্দুল মজিদকে তালাক পাঠায়। ২৯ এপ্রিল অন্তিকাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে আল্ট্রাসনো করে গর্ভে সন্তান আছে বলে নিশ্চিত হয় তার পিতা। এরপর হাসপাতালের আয়া দিয়ে গর্ভপাত ঘটিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়। পরে বাড়ি থেকে পালিয়ে গত ১৯ মে পুনরায় আব্দুল মজিদকে বিয়ে করে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বর্তমানে অবস্থান করছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।

আরও খবর

🔝