gramerkagoj
শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
কয়রায় ভেঙে যাওয়া দশহালিয়া বেড়িবাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার সম্পন্ন
প্রকাশ : বুধবার, ২ জুন , ২০২১, ০৭:৫২:৩৩ পিএম
শেখ মনিরুজ্জামান মনু, কয়রা (খুলনা) :
1622642003.jpg
খুলনার কয়রায় ইয়াসের আঘাতে ভেঙে যাওয়া মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া বেড়িবাঁধ ৬ দিন পর স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সংস্কার করলেন এলাকাবাসী। টানা ৪ দিন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে হাজার হাজার মানুষ কাজ করার পর বুধবার দুপুরে বাঁধ আটকাতে সক্ষম হয়েছেন।  ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ও ভরা পূর্ণিমায়  নদীতে জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায়  দশহালিয়ার বেড়িবাঁধ ভেঙে লবণ পানিতে তলিয়ে যায় ১২ টি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন হাজার হাজার মানুষ। বাঁধটি নির্মাণের জন্য গত ৩০ মে ভোর থেকে ভাঙন এলাকায় আসেন মহারাজপুর, কয়রা ও বাগালী ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। বিরতিহীনভাবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে বাঁধার  কাজ। একটানা ৪ দিন কাজ করে বাঁধ রক্ষা করেই তারা বাড়িতে ফিরেছেন। বাঁশ, মাটি ও সিমেন্টেরে বস্তা দিয়ে ভাঙা বেড়িবাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে অস্থায়ী রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকাতে সক্ষম হয়েছেন তারা। এ সময় জনগনের সাথে বাঁধ মেরামতে কাজ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।   মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্যাহ আল মামুন লাভলু বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারে চেয়ে ৫/৬ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দশহালিয়ার দুর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙে মহারাজপুর ও বাগালী ইউনিয়নে লবণ পানি প্রবেশ করেছে। ইয়াসের প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হওয়ায় মানুষের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে মৎস্য ঘের, পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম বলেন, কয়রায় দশহালিয়ার বেড়িবাঁধ আটকানোর জন্য এলাকাবাসীর সহযোগিতায় রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকানো সম্ভব হয়েছে। বাঁধ বাঁধার জন্য পানিউন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বস্তাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করা হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, ইতিমধ্যে কয়েকটি বেড়িবাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে মেরামত করা হয়েছে। কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, পাউবোর ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধগুলো সময়মত নির্মাণ না করায় দুর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। যে কারণে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের কথা জানিয়েছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন টেকশই বেড়িবাঁধ নির্মাণের। সে জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রী ও সচিব একাধিকবার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন। বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলেই টেকসই বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হবে।

আরও খবর

🔝