gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১২ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
গম জব্দের ১৭ দিন পর গোদাগাড়ীর ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
প্রকাশ : বুধবার, ২৬ মে , ২০২১, ০৫:৩৭:৩৩ পিএম
হাফিজুর রহমান পান্না, রাজশাহী ব্যুরো ::
1622029120.jpg
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ২০ মেট্রিক টন গম জব্দের ১৭ দিন পর এর মালিককে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে নওগাঁ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের এক বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার সকালে গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে আনা হয়।গ্রেপ্তাকৃত ব্যবসায়ীর নাম আতাউর রহমান ওরফে আতা (৫৫)। কাঁকনহাট পৌরসভার রসুলপুর কুমেদপুর দীঘিপাড়া মহল্লায় তার বাড়ি। তিনি একজন ব্যবসায়ী। গত ৮ মে রাতে আতাউরের বাড়ি থেকে ২০ টন গম জব্দ করে পুলিশ। খাদ্য অধিদপ্তরের বস্তায় চারটি ট্রলিতে ছিল গমগুলো। প্রতিটি ট্রলিতে ছিল ৫ টন। মোট ২০ টন গমের আনুমানিক দাম আট লাখ টাকা।কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা যখন আতাউরের বাড়িতে অভিযান চালায়, তখনই তিনি পালিয়ে যান। এরপর পুলিশ গমগুলো জব্দ করে নিয়ে যায়। পরদিন কালোবাজারির অভিযোগে গোদাগাড়ী থানায় একটি মামলাও করা হয়। অবশেষে এই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হলো। কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশের পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান জানান, আতাউরকে গ্রেপ্তারের জন্য কয়েকদফা অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তিনি বার বার অবস্থান পরিবর্তন করছিলেন। তাকে ধরা যাচ্ছিল না। অবশেষে নওগাঁ সদর থানা পুলিশের সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি নওগাঁয় পরিচিত এক ব্যক্তির বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আতাউর রহমান জানিয়েছেন, তিনি পঞ্চগড় থেকে গমগুলো কিনে ট্রাকে করে কাঁকনহাটে আনেন। এরপর ট্রাক থেকে নামানোর পর আলাদা খাদ্য অধিদপ্তরের বস্তায় ভরে গমগুলো ট্রলিতে তুলে রেখেছিলেন। পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘গমগুলো কালোবাজারির জন্য রাখা হয়েছিল। এটা অবৈধ মজুত। তাই জব্দ করা হয়েছিল।’স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, কৃষক নয়, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ব্যবসায়ীরাই এখন বাইরে থেকে নিম্নমানের গম সংগ্রহ করে এনে গুদামে দিচ্ছেন। গুদাম থেকে ব্যবসায়ীদের খাদ্যবিভাগের সিলযুক্ত বস্তাও সরবরাহ করা হচ্ছে। এই বস্তায় ভরে ব্যবসায়ীরা গম দিচ্ছেন। এতে তারা লাভবান হচ্ছেন। আতাউরের বাড়ি থেকে জব্দ করা গমগুলোও খাদ্যগুদামে ঢোকানো হতো। তিনি গুদামে ধানও ঢোকান।এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘এই বিষয়টা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে গমগুলো অবৈধ বলেই তো আতাউর পালিয়ে ছিলেন। তাকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাওয়া হবে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত জানা যাবে।

আরও খবর

🔝