gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
পাবনায় পৃথক ঘটনায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার
প্রকাশ : শুক্রবার, ২১ মে , ২০২১, ০৭:৩৩:২৯ পিএম
পাবনা প্রতিনিধি::
1621604123.jpg
ভ্যান চালক খুন হয়েছেন ছিনতাইকারীদের হাতে, তুচ্ছ ঘটনায় বাক- বিতন্ডকালে ব্যবসায়ি মারা গেলেন ষ্ট্রোক করে আর ঘুমন্ত স্ত্রীকে বিছানায় রেখে যুবক শোবার ঘরের পাশে আতœহত্যা করেছেন। এ তিনটি ঘটনা ঘটেছে পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার পৃথক তিনটি গ্রামে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে। পুলিশ শুক্রবার (২১ মে) সকালে এ তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।নিহত ও মৃত্যুবরণকারীরা হলেন- আমিনপুর থানার মাস্টিয়া গ্রামের মৃত সোহরাব আলীর ছেলে মন্টু সেখ(৩২), নাটিয়াবাড়ীর মৃত চিত্ত রঞ্জন সাহার ছেলে ব্যবসায়ী স্বদেশ সাহা(৬২) ও শিমুলিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের রানা(২৫)।আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রওশন আলী শুক্রবার দুপুরে এ তিনটি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে জাতসাখিনী ইউনিয়নের মাস্টিয়া গ্রামের ইছাবিল এর পাশ থেকে মন্টু শেখ (৩২) নামের এক যুবকের গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মন্টু পেশায় ছিলেন ভ্যানচালক। তিনি বাড়ি থেকে বিকেলে ইঞ্জিনচালিত ভ্যান গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার পর রাতে খুন হন। ওসি জানান, অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা তাকে গলাকেটে রাস্তার পাশে ফেলে রখে যান। তিনি জানান, ভ্যানটি পাওয়া যায়নি। ভ্যান গাড়িটি ছিনতাইয়ের জন্য তাকে গলাকেটে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের ধারণা। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।এদিকে নাটিয়াবাড়ী ঘাটের নতুন বাজারে স্বদেশ সাহা (৬২) নামের একজন দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করতেন। এ দোকানটিতে আগে ব্যবসা করতেন আব্দুল হালিম নামের একজন। কিন্তু ঘরমালিক আব্দুল হালিমের উপর বিভিন্ন কারণে নাখোশ থাকায় দোকান ঘরটি কিছুদিন আগে স্বদেশ সাহার কাছে ভাড়া দেন। সেই আব্দুল হালিম বৃহস্পতিবার রাতে স্বদেশ সাহার দোকান থেকে সিগারেট কিনেন। কিছুক্ষণ পর গিয়ে ওই সিগারেট ফেরত দিতে চান। কিন্তু বিক্রিত সিগারেট স্বদেশ সাহা ফেরত নিতে চাননি। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে চরম বাক বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে স্বদেশ সাহা স্ট্রোক করে ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্বদেশ সাহা এর আগেও স্ট্রোক করেছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান। পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হেয়ছে।ওসি জানান ব্যবসায়ীর পরিবারের পক্ষ থেকে মৌখিক অভিযোগ করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।এদিকে শিমুলিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের রানা নামের এক যুবক বৃহস্পতিবার রাতে স্বাভাবিকভাবে পরিবারের সবার সাথে খাবার খেয়ে ছাপড়া ঘরে সস্ত্রীক ছিলেন। রাতের কোন এক সময় তিনি ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে বের হয়ে পাশের একটি গাছের সাথে গলায় ফাঁস নেন। শুক্রবার ভোরে তার স্বজনরা তাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ খরর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রওশন আলী জানান তিনটি হত্যা ও অপমৃত্যুর ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। 

আরও খবর

🔝