gramerkagoj
শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের রহস্য উন্মোচন
প্রকাশ : শুক্রবার, ২১ মে , ২০২১, ০৩:৫৭:২৭ পিএম
পিরোজপুর সংবাদদাতা : :
1621591246.jpg
পিরোজপুর-১ (নাজিরপুর, সদর ও নেছারাবাদ) আসনের এমপি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।জানা গেছে, সম্প্রতি মন্ত্রী রেজাউল করিম ও তার পরিবারের সদস্যদের স্বাধীনতাবিরোধী আখ্যা দেওয়াসহ তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করে কয়েকজন নারী-পুরুষকে দিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।এ ঘটনায় মন্ত্রীর ছোট ভাই একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক ও প্রকাশক নুরে আলম সিদ্দিকী শাহিন তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের দক্ষিণ জয়পুর গ্রামের সচীন মজুমদারের ছেলে সুব্রত মজুমদারটুপাই (৩৫), একই উপজেলার উত্তর জয়পুর গ্রামের রানী ম-ল (৪০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাছিরনগর উপজেলার দাইতমন্ডল গ্রামের সোবাহান ভুইয়ার মেয়ে সীমা আক্তার (৩৯) ও কুড়িগ্রাম জেলার নাগেরশ্বরীর আব্দুস সত্তারের মেয়ে সাথি আক্তারকে (৪১) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।জানা  গেছে, ওই ভিডিওতে সীমা আক্তার  ও সাথী আক্তারের কপালে সিঁদুর ও হাতে শাখা পড়িয়ে হিন্দু পরিচয়ে তাদের দিয়ে মন্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কটূক্তি করানো হয়েছে।গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারকৃতদের দুই দফা জিজ্ঞাসায় তাদের কাছ থেকে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে এখনই সব তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তবে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন ভিডিও তৈরিতে রাজনৈতিক একটি প্রভাবশালী মহলের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে মন্ত্রী, তার পরিবার ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এমন করা হয়েছে বলে অভিযোগ মিলছে। ভিডিও তৈরি করা নারী সীমা আক্তার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি হিন্দু নন, মুসলিম। তিনি টাকার বিনিময়ে হিন্দু সেজে ভিডিওতে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। এ ভিডিও বানানোর মূল অর্গানাইজার সুব্রত মজুমদার টুপাইও এসব তথ্য দিয়েছেন।এ ঘটনার প্রতিবাদে গত সপ্তাহ ধরে পিরোজপুর-১ (নাজিরপুর, পিরোজপুর সদর ও নেছারাবাদ) আলোচনা-সমালোচনাসহ প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। নাজিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শেখ আব্দুল লতিফ বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে মন্ত্রীর বাবা শেখ আব্দুল খালেকসহ তার পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক সব পুরুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। তিনি স্থানীয় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালে আমরা এ এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা তার বাড়িতে বসে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়েছি। অথচ তাকে (মন্ত্রীর বাবা) স্বাধীনতাবিরোধী বলে অপ্রচার চালানো হয়েছে। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে।

আরও খবর

🔝