gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১০ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
ফের আলোচনায় বঙ্গভ্যাক্স, বিএমআরসির সিদ্ধান্তের অপেক্ষা
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২০ মে , ২০২১, ০৭:৩৮:২১ পিএম
ঢাকা অফিস:
1621518612.jpg
দেশীয় করোনা টিকা গ্লোব বায়োটেকের বঙ্গভ্যাক্স প্রাণীদেহে কার্যকর। যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল জার্নালে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ হয়েছে। মানবদেহে ট্রায়ালের জন্য বিএমআরসির অনুমোদনের অপেক্ষা করছে প্রতিষ্ঠানটি।যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল জার্নাল ‘ভ্যাকসিনে’ বলা হয়, বঙ্গভ্যাক্স হলো এমআরএনএ প্রযুক্তিতে তৈরি বিশ্বের প্রথম এক ডোজের কার্যকরী টিকা যা সার্স-কভ-২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে সফলভাবে মানবকোষ ও প্রাণীদেহে সুরক্ষা দিয়েছে। এ গবেষণাপত্র প্রকাশের পর আবারও আলোচনায় দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের ভ্যাকসিন।গ্লোব বায়োটেকের সিইও কাকন নাগ বলেন, রিউমার হয়তো ছিল বাজারে, আমাদের রিসার্স অ্যার্টিকেলটি যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের মধ্যেদিয়ে এটি প্রমাণিত হলো যে, আমাদের দাবিটি ছিল ভ্যাকসিন আবিষ্কার, সেটি আসলে খাঁটি দাবি।  প্রি-ক্লিনিক্যাল গবেষণায় দেখা যায়, এ টিকাটি মানবকোষ ও প্রাণীদেহে সহনশীল ও নিরাপদ। গ্লোব বায়োটেকের দাবি, এই টিকা অন্তত ৬ মাস সুরক্ষা দেবে মানবদেহে।তিনি বলেন, এ টিকাটি মানবকোষ ও প্রাণীদেহে সহনশীল ও নিরাপদ। সেই হিসেবে আমরা বলতে পারি যে, এটি ১০০ ভাগ কাজ করেছে প্রাণীদেহে। প্রতিমাসে আমরা এক কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারব। এর বাইরেও অন্য কেউ যদি এ ভ্যাকসিন নিয়ে যৌথভাবে কাজ করতে চান, আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারব। এ ভ্যাকসিনটি তৈরি করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ীই কোনো নির্দিষ্ট ডেডিকেটেড সুবিধার প্রয়োজন নেই।ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ হিসেবে টিকা উৎপাদনে ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি পাওয়া যায় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর। তবে মানবদেহে প্রয়োগের জন্য প্রয়োজন বিএমআরসির অনুমোদন। চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি সেই অনুমোদন প্রাপ্তির জন্য বিএমআরসিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।কাকন নাগ আরও বলেন, ১০০ মতো অবজারভেশন ছিল তাদের (বিএমআরসি)। সেগুলো আমরা এরইমধ্যে বৈজ্ঞানিক তথ্যসূত্র অনুসরণ করেই জবাব দেওয়া দিয়েছি গত ১৭ ফেব্রুয়ারি। তবে এখনো কোনো উত্তর পাইনি।     এদিকে বিএমআরসি বলছে, যাচাই বাছাই শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।বিএমআরসির ইথিক্যাল কমিটির সদস্য জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন বলেন, এখনো কোনো আলাপ হয়নি, সোজা কথা হওয়ার মতো অবস্থা আসেনি। কোনো রকম প্রোডাকশন নিয়ে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন প্রোডাকশন নিয়ে আমরা এখানো কোনো আলাপ করতে পারি নাই।তিন মাসেও অনুমোদন না পাওয়া দুঃখজনক বলে মন্তব্য গ্লোব বায়োটেকের।

আরও খবর

🔝