gramerkagoj
শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৫ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
রাষ্ট্রের স্বার্থেই চতুর্থ স্তম্ভকে বাঁচাতে হবে
প্রকাশ : বুধবার, ১৯ মে , ২০২১, ১০:২৭:১৭ পিএম
:
1621441679.jpg
রোজিনা ইসলাম এই সময়ে দেশের বড় মাপের অনুসন্ধানী সাংবাদিক। তার কাজের ধারাবাহিকতায় আজ তাকে শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে। এক বা একাধিক নয়, অসংখ্য অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কারণে তিনি আজকের রোজিনা ইসলাম। যাকে পাঠক এক নামে চেনেন। তবে গুটিকয়েক মানুষ তার কাজে ভীত-সন্ত্রস্ত। যারা দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সম্পদ আর জনগণের অর্থ লুটে নিতে ব্যস্ত। যখনই তাদের মুখোশ খুলে গেছে, তখনই তারা সত্যকে ঢাকতে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে।সেই ভিন্ন কৌশলেরই সর্বশেষ নমুনা আমরা দেখলাম। রোজিনা ইসলাম দৈনিক প্রথম আলোর হয়ে কাজ করেন। তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে তাকে সেখানে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। রাত পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ জানায়, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা হয়েছে। তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’ আজকে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেশের কোনো সাংবাদিক আগে কখনো এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন কি না- তা আমরা জানি না। তবে এটা বলতে পারি- হালের ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ নানা আইনের কারণে স্বাধীন সাংবাদিকতা অনেকটাই বাধাগ্রস্থ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব চাপ এড়ানো সম্ভব হয় না। এরপরও যদি কোনো গণমাধ্যম বা গণমাধ্যমকর্মী রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থে কোনো সাংবাদ প্রকাশ করেই ফেলে, তারপরের পরিস্থিতি খুব একটা সুখকর হয় না। আমরা মনে করি, রোজিনা ইসলামের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। কেননা তার কাজ রাষ্ট্র বা সরকারের বিরুদ্ধে নয়। গুটিকয়েক অসৎ ব্যক্তির অনিয়মের বিরুদ্ধে। নিজের স্বার্থে বা লাভের জন্য তিনি এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করেননি। করেছেন মানুষের কল্যাণে।এ ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করা হোক। তাদের শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি রোজিনা ইসলামকে রাষ্ট্রের স্বার্থেই দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা করা হোক। না হলে ভুল বার্তায় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে রাষ্ট্রেরই।

আরও খবর

🔝