gramerkagoj
শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
ভারতীয় ধরনে আক্রান্তের মধ্যে ৫ জন সুস্থ
প্রকাশ : রবিবার, ১৬ মে , ২০২১, ০৫:৫৫:০৭ পিএম
ঢাকা অফিস:
1621166192.jpg
ভারতীয় ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্স করে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে ৫ জন সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।রোবাবর স্বাস্থ্য বুলেটিনে এই তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক প্রফেসর মো. নাজমুল ইসলাম।তিনি বলেন, যে ৫ জন সুস্থ হয়েছেন তাদের কন্টাক্ট ট্রেসিং করেও আর কোনো সংক্রামিত রোগী পাইনি। সর্বশেষ আমরা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ৬ জনের নমুনায় পেয়েছি। নতুন করে জিনোম সিকোয়েন্স হচ্ছে, যদি আরও পাই তাহলে সেটিও জানিয়ে দিব।নাজমুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কম থাকলেও এ নিয়ে আত্মতুষ্টি বা সন্তুষ্টির কোনো কারণ নেই। এ ধরনের সংখ্যা যদি দিনের পর দিন পেতে থাকি তবেই একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারি। তার আগে পর্যন্ত মনে রাখতে হবে যে, সংক্রমণের যে দ্বিতীয় ঢেউ বা সেকেন্ড ওয়েভ চলছে আমরা তার মাঝখানে আছি। সেখান থেকে এখনো পরিত্রাণ পাইনি। কাজেই সবাইকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্ক থাকতে হবে।করোনার উপসর্গ থাকা জনগণকে করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষায় বেশি বেশি করে উদ্বুদ্ধ করতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যত বেশি পরীক্ষা হবে তত বেশি রোগী শনাক্ত হবে। শনাক্ত রোগীদের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে করোনার ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত করা হবে।নাজমুল আরও যোগ করেন, জিনোম সিকোয়েন্সিং একটু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত উপযুক্ত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জিনোম সিকোয়েন্সিং করে গণমাধ্যমকে অবহিত করে।তিনি বলেন, ভারত থেকে যেসব নাগরিক ফিরে আসছেন, তাদেরকে বাংলাদেশ সীমান্তে আসার পর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হচ্ছে। কোনো কোনো স্থানে রোগী ও তাদের স্বজনরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। নানাভাবে নিজ বাসগৃহে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এটি একেবারেই যৌক্তিক নয়। কারণ এভাবে কোয়ারেন্টিন থেকে চলে গেলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগী থেকে থাকলে পুরো দেশবাসীকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।নাজমুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ৩টি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে নাগরিকরা ফিরে আসছেন। ফিরে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের চিকিৎসা প্রয়োজন তাদের স্থানীয় জেলা, বিশেষায়িত কিংবা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা প্রদানের সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তাদের জন্য রাজধানীর মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে সম্প্রতি খোলা ১০০ বেডও রয়েছে। প্রয়োজন হলে তাদের সেখানে রেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।

আরও খবর

🔝