gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১০ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
জার্মানিতে মসজিদে চলছে টিকাদান কর্মসূচি
প্রকাশ : রবিবার, ৯ মে , ২০২১, ০২:৪৬:৫৮ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
1620550105.jpg
জার্মানির কোলনে টিকাদান কেন্দ্র হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে শহরটির কেন্দ্রীয় মসজিদকে। তবে, মসজিদটিতে কেবল মুসলমানদের নয় টিকা দেয়া হচ্ছে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাইকে। শনিবার থেকে আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে শহরটিতে শুরু হয় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান কর্মসূচি।মসজিদের বাইরে লম্বা লাইন, পুরুষদের পাশাপাশি একে একে ভেতরে প্রবেশ করছেন নানা বয়সী নারীরাও। দেখে অবাক লাগলেও জার্মানির কোলন শহরের কেন্দ্রীয় এ মসজিদের বাইরের এ লম্বা লাইন করোনার টিকা নেয়ার জন্য।সম্প্রতি নগর কর্তৃপক্ষ মসজিদটিকে টিকাদান কেন্দ্র করে হিসেবে ঘোষণা করে।শনিবার স্থানীয় সময় ভোর থেকেই স্থানটিতে জড়ো হতে শুরু করেন কোলনের নানা বয়সী বাসিন্দা। তবে, মসজিদের ভেতরে টিকা কর্মসূচি চললেও টিকাদান কেবল মুসলমানদের জন্য নয় সীমাবদ্ধ ছিল ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার জন্য।এক জার্মান নাগরিক জানান, কোথায় বসে টিকা নিচ্ছি এটি আমার কাছে মুখ্য নয়, টিকা নিতে পারলেই আমি খুশি।আমি এখানে ভ্যাকসিন নিতে এসেছি। এখানে যারা নামাজ পড়তে আসেন তাদের এ নিয়ে কোনো সমস্যা না থাকলে আমার কেন এখানে আসতে সমস্যা হবে বলেন আরেক জার্মান নাগরিক।করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে পবিত্র এই স্থানটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে খোদ মসজিদ কর্তৃপক্ষই। আর তাই, ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই যত দ্রুত সম্ভব টিকার আওতায় আসতে শহরের মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কোলন সেন্টাল মসজিদ কমিটির নেতারা।সেন্টাল মসজিদ কমিটির এক নেতা জানান, রমজান মাসে সাধারণত রোজাদাররা সেহরি করে একটু দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন। আর তাই তারা এখানে আসার আগেই লাইন দীর্ঘ হয়ে গেছে। এ জন্য তাই আমি মুসলিম ভাইবোনদের আমি বলবো, আপানার একটু কষ্ট হলেও, সকাল সকাল এখানে আসুন, টিকা নিন।মসজিদটিতে গণহারে প্রয়োগের উদ্দেশ্যে মাত্র দুই হাজার ডোজ টিকা বরাদ্দ থাকায় ভ্যাকসিন কর্মসূচি পরিচালনা করা হচ্ছে আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে।এদিকে আক্রান্তের তালিকায় রাশিয়া ষষ্ঠ, যুক্তরাজ্য সপ্তম, ইতালি অষ্টম, স্পেন নবম এবং জার্মানি দশম স্থানে রয়েছে।২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, রোববার (৯ মে) সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন আরও ১৩ হাজার ২২ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ৮৩ হাজার ১৩ জনের শরীরে। এ নিয়ে বিশ্বে মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩২ লাখ ৯৬ হাজার ৫৯১ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ কোটি ৮৩ লাখ ১২ হাজার ৮৫৩ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ কোটি ৫৭ লাখ ৬১ হাজার ৪৩ জন।

আরও খবর

🔝