যশোরের চৌগাছায় যৌতুক মামলা হতে ভাই ও নিজেকে রক্ষায় বোন তার নিজ স্বামীকে আত্মগোপনে রেখে নিখোঁজ মামলার নাটক সাজিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন প্রিয়া নামে এক নারী। শনিবার সকালে চৌগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।লিখিত বক্তব্যে প্রিয়া খাতুন বলেন, উপজেলার বর্ণি গ্রামের শামীম হোসেনের মেয়ে তিনি। ২০১৪ সালে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয় পার্শবর্তী মহেশপুর উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের টিটো হোসেনের সাথে। সংসার জীবনে তারা ৫ বছরের এক পুত্র সন্তানের জনক জননী। বিয়ের পর হতে স্বামী বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে নেমে আসে নির্যাতন। একপর্যায়ে আমার পিতা জমি ক্রয় বাবদ দু’দফায় ১ লাখ ৫০ হাজার ও ৮০ হাজার এবং মোটরসাইকেল কেনা বাবদ ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেন। ২০২০ সালের মে মাসে মাইক্রোবাস কেনার কথা বলে আবারও ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে স্বামী টিটো হোসেন, শাশুড়ি পারুল বেগম ও ননদ পারভিনা খাতুন মিলে আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমার পিত্রালয়ের লোকজন আমাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিছুটা সুস্থ হয়ে যশোর চীপ জুডিশিয়াল আমলী আদালতে পারিবারিক সহিংসতা ও সুরক্ষা আইনের ১০/১১/১২/১৩(১)/১৪/১৫/১৬ ধারায় মামলা করি, যার নম্বর-১১৩। মামলার পর আমার স্বামী পুনরায় আমাদের বাড়ি যায় এবং মামলা তুলে নেয়ার পাশাপাশি মাইক্রো কেনা বাবদ আবারও টাকা দাবি করে। সেখানে কিছুটা বাকবিতন্ডা হলে  সে ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে চলে আসে। এ ঘটনার পর বিজ্ঞ জুডিশিয়াল আমলী আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় আমি আরও একটি মামলা করি, যার নম্বর-১০৪। এরপার হতে আমার স্বামীর সাথে আমাদের আর কোন যোগাযোগ নেই। বর্তমানে আমার ছোট শিশু সন্তানকে নিয়ে পিত্রালয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। সম্প্রতি জানতে পারি আমার ননদ পারভীনা খাতুনের স্বামী উপজেলার আন্দুলিয়া গ্রামের আজাদ হোসেন নিখোঁজ হয়েছেন। এ ঘটনায় ননদ আমাকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ করেছেন থানায়। নিখোঁজের ঘটনাটি একটি নাটক বলে আমি মনে করছি। কেননা আমার করা মামলা দুটি তুলে নিতে এর আগে তারা নানাভাবে হুমকি ও চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। সম্মেলনে প্রিয়া খাতুনের মা পারুল বেগম, মামী কাকলী বেগম ও প্রিয়া খাতুনের শিশু সন্তান হুসাইন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।