gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ চৈত্র ১৪৩০
gramerkagoj
চৌগাছায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ: স্বামী-শাশুড়ি আটক
প্রকাশ : সোমবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২১, ০১:০২:১০ পিএম
কাগজ সংবাদ : :
1619450348.jpg
চৌগাছায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করেছে। নিহত আয়েশা বেগম যশোর সদর উপজেলার দিয়াপাড়া গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের মেয়ে। রোববার রাতে চৌগাছার মাঠপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক দু’জন হলেন মাঠপাড়া এলাকার হাসানুর রহমানের ছেলে ইমরান হোসেন (২২) ও তার মা বিলকিস বেগম। সোমবারই তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে ইমরান স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ১১টার দিকে ইমরান ও তার সহযোগীরা ইমরানের স্ত্রী আয়েশা বেগমকে (১৮) শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এক পর্যায়ে তারা চিৎকার করে বলেন, আয়েশা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তখন প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে দেখেন ঘরে আয়েশার নিথর দেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সুরতহাল রিপোর্ট করার সময় পুলিশের সন্দেহ হয় আয়েশাকে শ্বাসরোধে করে হত্যা করা হতে পারে। এ সময় ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ইমরান ও তার মা বিলকিস বেগমকে আটক করে।আয়েশার মা কুলসুমা বেগম বলেন, ‘এক বছর পূর্বে ইমরানের সাথে আয়েশার বিয়ে হয়। ভালোই চলছিল তাদের সংসার। হঠাৎ কী হলো বুঝলাম না। রোববার ইফতারের দশ মিনিট পূর্বেও মেয়ের সাথে আমার মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। তখনো মেয়ে তেমন কিছু জানায়নি আমাকে।’চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, প্রাথমিকভাবে এটা আত্মহত্যা বলে মনে হয়নি। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে। সে কারণেই নিহতের স্বামী ও শাুড়িকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।এদিকে, ইমরান হোসেন ও তার মাকে আদালতে সোপর্দ করার পর ইমরান স্ত্রী আয়েশা খাতুনকে হত্যার কতা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম আসামির এ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। ইমরান জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, তিনি পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান। এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকে তার স্ত্রী আয়েশা খাতুন তাকে আলাদা হয়ে সংসার করতে বলতেন। এনিয়ে আয়েশা তার সাথে প্রায় গোলযোগ করতেন। কয়েকদিন আগে এ নিয়ে তার মা রাগ করে মামাবাড়ি চলে যান। ইমরান রোববার মাকে ফিরিয়ে আনতে গেলে আয়েশা আসেন না। রাতে ইমরান বাড়ি ফিরলে স্ত্রীর সাথে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইমরান নিজে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে যান। এসময় তার স্ত্রী এসে বাধা দিলে ইমরান তার গলা চেপে ধরেন। আয়েশা খাতুন তার স্বামী ইমরানকে লাথি মেরে খাটের ওপর ফেলে দিয়ে নিজে পড়ে যান। ইমরানের কথার উত্তর না দেয়ায় তিনি আয়েশার মুখের ওপর বালিশ চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে ইমরান তার স্ত্রী আয়েশার শাড়ি ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছে বলে চিৎকার শুরু করেন। 

আরও খবর

🔝