প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল , ২০২১, ০৪:৪৫:৩৫ পিএম
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা সদরের মাদ্রাসা রোডস্থ একটি কাঠের ঘরে ভাড়া থাকেন ঝর্না ও তার স্বামী মো. হালিম হাওলাদার। স্বামীর রিকশা চালালো আয় দিয়েই চলতো তাদের সুখের সংসার। গত ৪ বছর পূর্বে স্বামী ষ্ট্রোক করলে ধারদেনা ও এনজিওর ঋণ নিয়ে স্বামীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে সবকিছু খুইয়ে পরিবারটি এখন সর্বশান্ত। এ অবস্থায় কোন উপায়ান্তনা পেয়ে তাদের ভাড়া বাসা সংলগ্ন ছোট একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে চা-পান, রুটি-বিস্কুট বিক্রি করে কোন ভাবে সংসার চালাচ্ছিলেন ঝর্ণা বেগম। সংসার চালানোর পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে ষ্ট্রোকজনিত কারণে অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসা ও ওষুধপত্র স্ত্রী ঝর্ণা বেগমের চা দোকানের আয়ে দিয়েই বহন করতে হয়। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে সরকার ঘোষিত লকডাউনে দোকান বন্ধ থাকায় অর্ধাহারে অনাহারে মানবেতর দিন কাটছেন ঝর্নার পরিবার। চা দোকানী ঝর্ণা বেগম জানান, লকডাউনে দোকান বন্ধ। বেচাকেনা নাই। ভাত খাওয়া তো দূরের কথা কদিন রোজা হলো ইফতার করতেও পারছি না। ঘরে চাল বাজার কিছু নেই। স্বামী অসুস্থ ঘরে তাকে নিয়মিত ওষুধ ও খাবার না দিতে পারলে আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমিও শারীরিক অসুস্থ। এখন কোথায় যাবো ও কি যে করবো বুজতে পারছি না। ঝর্ণা বলেন, তবে গত বছরের রোজা ও লকডাউনের সময় সরকারী-বেসরকারী অনেক সাহায্য সহোযোগিতা পেলেও এ মাসের চলমান কঠোর লকডাউনে ও রোজায় কোন সহায্য পাননি। পাইলে কিছুটা হলোও উপকার হতো।