gramerkagoj
শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
রাজশাহীতে ড্রামের মধ্যে পাওয়া তরুণীকে প্রেমঘটিত কারণে হত্যা, রেল পুলিশসহ আটক-৪
প্রকাশ : সোমবার, ১৯ এপ্রিল , ২০২১, ১১:০৮:৩৮ এ এম
হাফিজুর রহমান পান্না, রাজশাহী ব্যুরো : :
1618809392.jpg
রাজশাহীতে ডোবায় পড়ে থাকা ড্রামের ভিতর থেকে উদ্ধার তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবলসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। ১৮ এপ্রিল রোববার বিভিন্ন সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে পিবিআইয়ের নিজস্ব ফেসবুক পেজে জানিয়েছে। যে মাইক্রোবাসে লাশ বহন করে ফেলে দিয়েছিল সেই মাইক্রোবাসটিও উদ্ধার করেছে পিবিআই সদস্যরা।গ্রেপ্তারকৃরা হলেন, ১) পুলিশ কনস্টেবল নিমাই চন্দ্র সরকার (৪৩)। তার বাড়ি পাবনার আতইকুল্লা উপজেলার চরাডাঙ্গা গ্রামে। পিবিআই রাজশাহীর একটি চৌকশ পুলিশ টিম রোববার ভোর রাতে নাটোরের লালপুরস্থ আসামীর বোন-জামাইয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। নিমাই চন্দ্র জিআরপি থানায় কর্মরত।সহযোগিরা হলেন, ২) রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার আদারীপাড়ার কবির আহম্মেদ (৩০), ৩) রাজপাড়া থানার শ্রীরামপুর এলাকার সুমন আলী (৩৪) এবং ৪) মাইক্রোবাস চালক রাজশাহী নগরীর বিলশিমলা এলাকার আব্দুর রহমান (২৫)। গ্রেপ্তার পুলিশ কনস্টেবল নিমাই চন্দের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করে পিবিআই সদস্যরা।এর আগে নিহতের পরিবারের সদস্যরা ওই তরুণীর লাশ শনাক্ত করে। নিহত ওই তরুণীর নাম ননিকা রাণী রায় (২৪)। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁ সদরের মিলনপুর। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং ইন্সটিটিউট থেকে সদ্য অধ্যয়ন সমাপ্ত করেছেন। তিনি মহানগরীর পাঠানপাড়া এলাকার একটি মেসে থাকতেন। রোববার রাতে তার লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।পিবিআই জানায়, মহানগরীর তেরখাদিয়া এলাকার একটি বাড়িতে ওই তরুনীকে হত্যা করা হয়। ওই বাড়িটি জিআরপির কনস্টেবল নিমাই চন্দ্র গত ৬ এপ্রিল ভাড়া নেয়। তার স্ত্রীও পুলিশ কনস্টেবল। সে বগুড়ায় কর্মরত। রোববার বিকেলে পিবিআই সদস্যরা ওই বাড়িতে তদন্তে যায়।পিবিআই আরও জানায়, কনস্টেবল নিমাই হত্যার কথা স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে ৬/৭ বছর ধরে ননিকা রাণীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়। সম্প্রতি সে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এ কারণে তাকে হত্যার পর ড্রামে লাশ ভরে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেয়। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।শুক্রবার মহানগরীর অদূরে বাইপাস সড়কের সিটি হাটের কাছে একটি ডোবায় ড্রামের মধ্যে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে শাহমখদুম থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। লাশ উদ্ধারের সময় ডিবি, সিআইডি ও পিবিআই সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তারা পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করে।** সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রশ্রযরে বলি এই নার্স  এর দাযভার কার,?পুলিশে খারাপ লোকদের প্রশ্রয দিলে ভবিষ্যতে আরো খারাপ ঘটনার জন্ম হয, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ রাজশাহী রেল পুলিশের কনস্টেবল নিমাই। এই নিমাই একসময আরএমপির গোযন্দো বিভাগে চাকরি করেছেন। তখন গোযন্দো অফিস ছিল কাজিরহাটার গলিতে। সেই এলাকার এক কলেজ ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নগ্ন ভিডিও তৈরি করে। ভিডিওটি কম্পিউটারের দোকান থেকে মানুষের হাতে হাতে চলে যায়। তখন তাকে সাসপেন্ড করা হয়, চাকরি চলে যায় তার। পরবর্তীতে নানা কৌশলে চাকুরী ফিরে পেয়ে রেল পুলিশে যোগ দেয়। নিমাইয়ের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ ছিল, কিন্তু কোন কোনো কর্মকর্তাকে হাত করে পার পেয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত নার্স হত্যার দায়ে তাকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। নিমাইয়ের স্ত্রীও একজন নার্স। তার আরো কিছু ঘটনার কথা শোনা যায়। এই নিমাই এর মতো আরএমপি তে আরো একাধিক ব্যক্তির নাম জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে। অভিযোগের পর অভিযোগ উঠছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অজ্ঞাত কারণে নিমাই এর মতো তারা পার পেয়ে যাচ্ছে। হয়ত মহা কেলেঙ্কারির পর নিমাই এর মতো তাদের যবনিকাপাত হতে পারে অনেকের।

আরও খবর

🔝