gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ চৈত্র ১৪৩০
gramerkagoj
স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ফার্মেসিতে

❒ করোনা প্রতিরোধ কমিটির নির্দেশনা উপেক্ষিত

প্রকাশ : শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল , ২০২১, ০৯:৫৭:০৩ পিএম
কাগজ সংবাদ :
1618588653.jpg
করোনা প্রতিরোধ কমিটির নির্দেশ অমান্য করে যশোরের অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালে রোগীসেবা প্রদান করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ডাক্তারদের চেম্বারের সামনে রোগীরা গাদাগাদি অবস্থান করায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েই যাচ্ছে। শুক্রবার যশোরের বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করোনা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে কোনো তদারকি লক্ষ্য করা যায়নি।বুধবার সার্কিট হাউজে যশোর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় সংক্রমণ রোধে কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফার্মেসি খুলবেন মালিকেরা। সেখানে একজনের বেশি ক্রেতা ভীড় করতে পারবেন না। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই অবশ্যই মাস্ক পরতে করতে হবে। অন্যদিকে, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা প্রদানেও কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়। এগুলো হলো হাসপাতালে প্রবেশ মুখে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে, রোগী ও তাদের স্বজনদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, চেম্বারে ডাক্তাররা রোগী দেখবেন সীমিত পরিসরে এবং কোনো চেম্বারের সামনে রোগীরা ভীড় করতে পারবেন না। পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধিও মানতে হবে। এসকল আইন না মানলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও স্পষ্টভাবে হুশিয়ারি দেয়া হয় ওই সভায়।জেলা প্রশাসক ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ওই সভায় কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট মালিক সমিতি এবং প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল এবং প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন উপস্থিত ছিলেন।এদিকে, খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে করোনা প্রতিরোধ কমিটির নির্দেশনা মানা হচ্ছে না বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ফার্মেসিগুলোতে। সব জায়গায় স্বাস্থবিধি চরমভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে। শুক্রবার সরেজমিনে বেশ কিছু ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, কোথাও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ছিল না। যেখানে সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে ওষুধের প্যাকেট। ডাক্তারের চেম্বারের সামনেসহ অপেক্ষালয়ে ছিল রোগী ও স্বজনদের উপচেপড়া ভীড়। তাদের অধিকাংশেরই ছিল না মাস্ক। যারা মাস্ক পরেছেন তাদের অনেকে তা যথাযথভাবে ব্যবহার করেন নি। অনেককে মাস্ক খুলে হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। কিন্তু, এসব বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো সচেতনতা ছিল না। কর্তৃপক্ষের কাউকে রোগী ও স্বজনদের এ বিষয়ে কোনো কথা বলতেও দেখা যায়নি।বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে বেসরকারি হাসপাতালের একজন কর্মী বলেন, ‘নির্দেশনা দিতে হয় তাই দিয়েছে, কে দেখছে এখানে কী হচ্ছে। মানুষ এখানে আসে বিপদে পড়ে, অসুস্থ হয়ে। ওসব নির্দেশ মানতে গেলে রোগীদের সেবা দেয়া যাবে না’।অন্যদিকে, জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েই নিজেদের কর্তব্য শেষ করেছেন মনে করছেন অনেকে। তাদের অভিযোগ বুধবার সিদ্ধান্ত জানানোর পর কমিটির দায়িত্ব ছিল সেটা বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ফার্মেসিগুলোতে মানা হচ্ছে কি না তা দেখভাল করা। কিন্তু, তারা কোনো খোঁজখবর নিয়েছেন এমন তথ্য নেই।

আরও খবর

🔝