gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
রাজাকার সহযোগী মহাসীনের সেই কথিত চাঁদাবাজি মামলা ফাইনাল
প্রকাশ : বুধবার, ৭ এপ্রিল , ২০২১, ০৮:১৭:০৭ পিএম
কাগজ সংবাদ:
1617805088.jpg
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার প্রেমচারা গ্রামের যুদ্ধাপরাধী আমজাদ হোসেন মোল্লার সহযোগী আদম ব্যবসায়ী মহাসীন বিশ্বাসের করা শহীদ পরিবারের সদস্যদের নামে ষড়যন্ত্রমূলক চাঁদাবাজির মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। মামলার আরজিতে উল্লেখ করা বিষয় বস্তুর সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে তদন্তে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ২২ মার্চ দৈনিক গ্রামের কাগজের প্রথম পাতায় ‘শহীদ পরিবারগুলোর কান্না থামেনি, বাঘারপাড়া-শালিখায় এখনো রাজাকারদের দাপট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের পর থেকে বিষয়টি আমলে নেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তদন্ত প্রতিবেদন সেই সত্যেরই বর্হিপ্রকাশ বলে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শহীদ পরিবারের সদস্যগণ।মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের রজব আলী বিশ্বাসকে হত্যার অভিযোগে যুদ্ধাপরাধী আমজাদ হোসেন মোল্লার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন বাঘারপাড়ার পার্শ্ববর্তী গ্রাম মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার আড়ুয়াকান্দির রজব আলীর ছেলে খলিলুর রহমান খোকন বিশ্বাস। (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল কমপ্লেইন্ট রেজি.নং ৮১, তাং ২৫-০৪-২০১৭ এবং আইসিটি বিডি কেস নং ১১/২০১৮)। ২০১৭ সাল থেকে আমজাদ মোল্লার অন্যতম সহযোগী আদম ব্যবসায়ী মহাসীন বিশ্বাসসহ সন্ত্রাসীদের হুমকি-ধামকি নির্যাতনে মানবেতর জীবন যাপন করছে পরিবারটি। বাজারে নাইট গার্ডের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা খোকন বিশ্বাসের নিরাপত্তার শঙ্কায় বন্ধ হয়ে গেছে উপার্জনের পথটি। জরাজীর্ন মাটির ঘরে কোন রকমে বেঁচে আছেন পরিবার পরিজন নিয়ে। তারপরও পরিবারটিকে হয়রানি করতে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি বাঘারপাড়া আমলী আদালতে যুদ্ধাপরাধী আমজাদ হোসেন মোল্লার হাতে নিহত শহীদ রজব আলীর ছেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের স্বাক্ষী খোকন বিশ্বাস ও তার ভাই আবুল বিশ্বাসসহ তাদের পরিবারের পাঁচ সদস্যের নামে চাঁদাবাজি মামলা করেন আমজাদ মোল্লার সহযোগী আদম ব্যবসায়ী মহাসিন বিশ্বাস। মামলার এজাহারে বলা হয় যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানার প্রেমচারা গ্রামের মহাসীন বিশ্বাসের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে খোকন বিশ্বাস, তার ভাই আবুল বিশ্বাস ও পরিবারের অপর তিন সদস্য। এমনকি তারা এক লাখ টাকা চাঁদা আদায়ও করেছেন মহসিন বিশ্বাসের কাছ থেকে। এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান বাঘারপাড়া থানার এস আই নবুয়াত হোসেন। তদন্ত শেষে তিনি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। ১০৪১ নাম্বার স্মারকে বাঘারপাড়া আমলী আদালতের বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর লিখিত প্রতিবেদনে আনীত অভিযোগের কোন সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্তের ফলাফল বাদীকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর সত্যের জয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

আরও খবর

🔝