বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘে যৌথভাবে কোভিড-১৯ অতিমারির সময়ে অটিজম: বৈশ্বিক সাড়াদান ও পুনরুদ্ধারে কীভাবে প্রযুক্তি সহায়তা করতে পারে’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল সাইড ইভেন্ট আয়োজন করা হয়। জাতিসংঘের বাংলাদেশ, ব্রাজিল, কুয়েত, পোল্যান্ড, কাতার ও কোরিয়া স্থায়ী মিশন এবং জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়াবলী বিভাগ ও অটিজম স্পিক্স এ ইভেন্টটির আয়োজন করে।বুধবার (৭ এপ্রিল) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী অফিস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।ইভেন্টে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন বাংলাদেশের অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের শুভেচ্ছা দূত সায়মা ওয়াজেদ।  ভার্চ্যুয়ালি আয়োজিত এ সভায় বক্তব্যে কোভিড-১৯ অতিমারির সময়ে অটিজম আক্রান্ত শিশু-পরিবারের জন্য বিশেষ সহায়তা পদক্ষেপ ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারসহ বাংলাদেশের উত্তম অনুশীলনগুলো তুলে ধরেন সায়মা ওয়াজেদ।অতিমারিকালে শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হওয়ার ফলে সারাবিশ্বে অটিজমের শিকার শিশুরা সামঞ্জস্যহীনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সায়মা ওয়াজেদ বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যমান সামাজিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা, শক্তিশালী তথ্য-প্রযুক্তি অবকাঠামো এবং বিস্তৃত কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা অনেক পরিবারকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্য করেছে।চলমান পরিস্থিতিতে অটিজমের ক্ষেত্রে বাড়তি সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে সায়মা ওয়াজেদ বলেন, অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবার যে ধরনের সামাজিক নিগ্রহের শিকার হয় তা মোকাবিলাসহ এ সংক্রান্ত সামগ্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে গত ৭ বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটি।ইভেন্টটিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ ও কাতারের স্থায়ী প্রতিনিধিদ্বয়। অটিজম সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, প্রতিশ্রুতি ও গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।  তিনি বলেন, প্রতিবন্ধিতা ও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারের শিকার ব্যক্তির সুরক্ষায় বাংলাদেশে আমরা শক্তিশালী আইন ও বিধি প্রণয়ন করেছি। বিভিন্নমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে প্রতিবন্ধিতা সহায়ক ই-সেবা, রেফারেল সেবা এবং দেশব্যাপী সহায়তা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।ইভেন্টটিতে সুনির্দিষ্ট ইস্যু তুলে ধরেন জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়াবলী বিভাগের পলিসি সমন্বয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল। সায়মা ওয়াজেদ ছাড়াও প্যানেল আলোচনা পর্বে অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।অটিজমের শিকার ব্যক্তিসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন পেশার মানুষ ভার্চ্যুয়াল এ ইভেন্টটিতে অংশ নেন।