gramerkagoj
শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
খোলপেটুয়া নদীর ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার
প্রকাশ : শনিবার, ৩ এপ্রিল , ২০২১, ০৬:৩২:৩৯ পিএম
আকবর কবীর, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা):
1617453213.jpg
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের খোলপেটুয়া নদীর ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধটি অবশেষে স্থানীয় মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করেছেন। হাজার হাজার মানুষ রিংবাঁধ দিয়ে পানি বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডলের নেতৃত্বে শুক্রবার এলাকার কয়েক হাজার মানুষ বাঁধ মেরামতে কাজ শুরু করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রবল জোয়ারের তোড়ে উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাবাটিতে খোলপেটুয়া নদীর বেঁড়িবাধ ভেঙে পাঁচ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। প্লাবিত হয় প্রায় পাঁচ হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। ক্ষতি হয় কয়েক কোটি টাকার সম্পদ।বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল জানান, নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিবছর এই ভাঙন দেখা যায়। প্রায় ৫০ বছর ধরে এই বেঁড়িবাধ ভাঙছে। বেড়িবাঁধ ভাঙার জন্য তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিকে দায়ী করেন।তিনি আরও জানান, এলাকার হাজার হাজার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে গত দু’দিন ধরে সেখানে রিংবাঁধ দিয়ে কোনো রকমে বাঁধটি সংষ্কার করেছেন। পার্শ্ববর্তী আটুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু এ কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।উপকূলীয় এলাকার বন্ধু হিসেবে পরিচিত সাতক্ষীরার শিল্পপতি খলিলুল্লাহ ঝড়ু বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদী কোনো পরিকল্পনা না থাকায় সুন্দরবন উপকূলীয় শ্যামনগরের বেড়িবাঁধগুলি প্রতিবছর ভাঙছে। প্রতিটি দুর্যোগে আমি দুর্গত জনগণের সাথে মিশে থাকার চেষ্টা করি। দুর্গাবাটি এলাকায় দু’দিন ধরে অবস্থান করে মানুষকে বাঁধ নির্মাণের কাজে উৎসাহিত করেছি’।    শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন বলেন, উচ্চ জোয়ারের চাপে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পশ্চিম দূর্গাবাটি পয়েন্টের বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এছাড়াও  পদ্মপুকুর ইউনিয়নের খুটিকাটা, পদ্মপুকুর, চন্ডিপুর ও চাউলখোলা পয়েন্টের বেড়িবাঁধ খুবই ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। গাবুরা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধগুলিও ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো মুহূর্তে এই বেড়িবাঁধগুলো ভেঙে যেতে পারে। তিনি এসময় টেকসই বেঁড়িবাধ নির্মাণের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার বলেন, দুর্গাবাটি বেড়িবাঁধ ভাঙার খবর পেয়ে তিনি গভীর রাতে এলাকায় ছুটে গিয়েছেন। বুড়িগোয়ালিনী এলাকার পানিবন্দি মানুষকে সাহস যুগিয়েছেন। এলাকাকে দুর্যোগমুক্ত করার জন্য তিনি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কথাও বলেছেন। অচিরেই উপকূলীয় এলাকার বেড়িবাঁধের স্থায়ী সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আরও খবর

🔝