gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
ঘুষের টাকাসহ সাব-রেজিস্ট্রার ধরা
প্রকাশ : শুক্রবার, ২ এপ্রিল , ২০২১, ০৬:০৪:০১ পিএম
কক্সবাজার সংবাদদাতা ::
1617365069.jpg
‘ঘুষ লেনদেনের’ টাকাসহ কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার মো. নাদিমুজ্জামান (৩১) ও অফিস মোহরার দুর্জয় কান্তি পালকে (৩৯) আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ৬ লাখ ৪২ হাজার ১০০ টাকা।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদক।দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই দুইজনকে আটক করে। অভিযানের সময় কৌশলে পালিয়ে যান অফিস সহকারী শ্যামল বড়ুয়া।আটক সাব-রেজিস্ট্রার মো. নাহিদুজ্জামানের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর থানার উত্তর নাড়িবাড়ি গ্রামে। তার বাবার নাম মোজাম্মেল হক। আটক অফিস মোহরার দুর্জয় কান্তি পালের বাড়ি কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুলে। তার বাবার নাম মধুরাম পাল। পলাতক অফিস সহকারী শ্যামল বড়ুয়া কক্সবাজার শহরের মোহাজের পাড়া এলাকার দীনবন্ধু বড়ুয়ার ছেলে।দুদক কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন জানান, সাব-রেজিস্ট্রার মো. নাহিদুজ্জামানের ব্যববহৃত রেকর্ড রুমের স্টিলের লকারের প্রথম ড্রয়ার থেকে ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৫০ টাকা জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও অফিস সহকারী শ্যামল বড়ুয়ার টেবিলের ড্রয়ার থেকে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৫০ টাকা এবং অফিস মোহরার দুর্জয় কান্তি পালের ড্রয়ার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।‘জব্দ করার টাকাগুলোর বিষয়ে তারা দুদককে সন্তোষজনক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। টাকাগুলো তারা দলিল রেজিস্ট্রারের সময় ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তাদের ড্রয়ার থেকে ঘুষ লেনদেনে হাতে লেখা ৪১টি স্লিপ জব্দ করা হয়েছে।’তিনি জানান, আটক দুইজনকে শুক্রবার কক্সবাজারের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে সোপর্দ করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরর প্রক্রিয়া চলছে।দুদক সূত্র জানায়, সাধারণ মানুষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি টিম ছদ্মবেশে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অবস্থান নেয়। ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারা অভিযান শুরু করে। অভিযান শেষ হয় রাত ৩টার দিকে।

আরও খবর

🔝