gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৪ চৈত্র ১৪৩০
gramerkagoj
বরগুনায় নৌকার আদলে জাদুঘর নির্মাণ
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ , ২০২১, ০৩:৫৬:২৩ পিএম
বরগুনা সংবাদদাতা ::
1617099555.jpg
কালের পরিক্রমায় হারিয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী সব নৌকা। সময়ের পালা বদলে কাঠের তৈরি নৌকার স্থান দখল করেছে লোহা ও স্টিলের তৈরি যন্ত্রচালিত নৌযান। হারিয়ে যাওয়া নৌকার স্মৃতি ধরে রাখতে এরই মধ্যে দক্ষিণের জেলা বরগুনায় গড়ে তোলা হয়েছে একটি যাদুঘর। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নৌকা রক্ষায় নৌপথে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের পাশাপাশি পর্যটনের বিকাশ প্রয়োজন।বাংলার নদীতে মাঝির নৌকা বাওয়ার দৃশ্য চিরন্তন। বাঙালির মানসপটে আঁকা সেই ছবি ধীরে ধীরে যেন ম্লান হতে বসেছে।বরগুনার বাওয়ালকর খেয়া ঘাট এখনো আছে। পারাপারের ব্যস্ততা থাকলেও নেই আগের জৌলুস। আবহমান বাংলার অনেক কালজয়ী গান, গল্প ও কবিতা রয়েছে এই খেয়া পারাপার মাঝি কিংবা খেয়াঘাট নিয়ে। কিন্তু সময়ের পালাবদলে সেই ঐতিহ্যে ভাটা পড়েছে।সামান্য অর্থের বিনিময়ে নদী পাড় করে দেয়া সুজন মাঝিদের জীবনের গল্পটা যেন সুকুমার রায়ের কবিতার মতো ষোলো আনাই মিছে।তারা জানান, শুনেছি ব্রিজ হবে। তাহলে আমাদের কী হবে। বাপ-চাচা এটা করে গেছেন। আমরাও এটা করছি।লোহার তৈরি কিংবা শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নৌকা ধীরে ধীরে দখল করে নিচ্ছে কাঠের নৌকার জায়গা। ঐতিহ্যবাহী নৌকা তৈরিতে খরচ বেশি হওয়ায় পিছিয়ে যাচ্ছেন মাঝিমাল্লারা। সত্তরের দশকে ঢাকার ওপর দিয়ে বয়ে চলা বালু নদী দিয়ে নৌকায় পণ্য নিয়ে যেতেন ব্যবসায়ীরা। সত্তরোর্ধ সুনীলের সেসব স্মৃতি এখনও অমলিন।নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌকা বরাবরই যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। এক সময় দেশে দেড়শো'র বেশি ধরনের নৌকার প্রচলন ছিল। বিলুপ্ত হয়েছে ৩০টিরও বেশি ধরন। বিলুপ্তপ্রায় আরো ২০টি ধরন।দৈনিক দীপাঞ্চল ও সাপ্তাহিক বরগুনার সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, পানসি নৌকা ছিলো, আরো অনেক ধরনের নৌকা ছিলো। এদের মধ্যে অনেক হারিয়ে গেছে।হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী নৌকার স্মৃতি ধরে রাখতে সাগর তীরবর্তী জেলা বরগুনায় বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর স্থাপন করেছে জেলা প্রশাসন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নৌকার আদলে এই জাদুঘর নির্মাণ করা হয়। জাদুঘরে রয়েছে বিলুপ্ত ও প্রচলিত ৭০ ধরনের নৌকার নিদর্শন।বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, বরগুনা একটি পর্যটন সমৃদ্ধ জেলা। এরইমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নৌকার আদলে জাদুঘর নির্মাণ করা হয়। আশা করি এখানে প্রচুর পর্যটন আসবে।কালের পরিক্রমায় অধিকাংশ নৌকারই এখন ঠাঁই হয়েছে এই জাদুঘরে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঐতিহ্যবাহী নৌকা রক্ষায় নৌপথ সুরক্ষার পাশাপাশি নৌকাকেন্দ্রীক ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে হবে, সেই সাথে নিতে হবে নানামুখি পদক্ষেপ।

আরও খবর

🔝