gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৪ চৈত্র ১৪৩০
gramerkagoj
দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশের হার
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ , ২০২১, ০৮:৪৮:১২ পিএম
ক্রীড়া ডেস্ক::
1616510962.jpg
অনেক সম্ভাবনা জাগলেও লুফে নিতে পারেনি ক্যাচ। বাংলাদেশ শিবির যেন মেতে ওঠে ক্যাচ মিসের মহড়ায়। অন্যদিকে জীবন পেয়ে ঠিকই দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ও সেঞ্চুরি করে কিউইদের এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জেতান অধিনায়ক টম ল্যাথাম। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টিতে পাঁচ উইকেটে হেরে সিরিজ পরাজয় হলো টাইগারদের। অথচ বড় একটা সময় জয়ের পাল্লা তামিম বাহিনীর দিকেই হেলে ছিল।মঙ্গলবার ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালে মুখোমুখি হয় দু’দল। যেখানে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ছয় উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান করে। জবাবে পাঁচ উইকেট হারিয়েও ১০ বল বাকি থাকতে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।বাংলাদেশের দেওয়া ২৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের ৫৩ রানে তিনি উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডকে চাপে ফেলে বাংলাদেশ। দলীয় পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ভয়ঙ্কর মার্টিন গাপটিলকে নিজের বলেই ক্যাচ ধরে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। ২৪ বলে ব্যক্তিগত ২০ রান করেন এই কিউই ওপেনার।এরপরই দ্রুত জোড়া সফলতা পানন টাইগাররা স্পিনার মেহেদি হাসান। উইল ইয়ংকে এক রানে বোল্ড করেন মেহেদি হাসান। আর নিজের আগের ওভারে ওপেনার হেনরি নিকোলসকেও সরাসরি বোল্ড করেন এই স্পিনার। দলীয় নমব ওভারের তৃতীয় বলে ১৩ রানে এই বাঁহাতিকে ফেরান তিনি।তামিম ইকবালের থ্রোতে রান আউটের শিকার হন কনওয়ে। ৯৩ বলে সাতটি চারে ৭২ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু এরপর বাংলাদেশ ফিল্ডারদের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগে জিমি নিশামকে সঙ্গে নিয়ে ৭৬ রানের জুটি গড়েন ল্যাথাম। নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন ল্যাথাম। ১০৮ বলে ১০টি চারে ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। নিশাম ব্যাক্তিগত ৩০ রানে মোস্তাফিজের শিকার হন।বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে মেহেদি ও মোস্তাফিজুর দু’টি করে উইকেট পান।এর আগে তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ মিঠুনের হাফসেঞ্চুরির ওপর ভর করে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৭১ রানের ভালো সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই মাঠ ছাড়েন লিটন দাশ শুণ্য রানে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দেখেশুনে খেলেন তামিম ইকবাল-সৌম্য সরকার। এই জুটি ৮১ রান তোলে। তবে ভালো খেলতে থাকা সৌম্য মিচেল স্যান্টনারের বলে স্টাম্পিং হয়ে মাঠ ছাড়েন। ৪৬ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ৩২ করেন এই বাঁহাতি।তামিম ইকবাল রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৭৮ রানে। মুশফিকুর রহিম ৫৯ বলে তিনটি চারে ৩৪ রান করেন শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান মিঠুন। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা এই ডানহাতি ৫৭ বলে ৭৩ রান করেন। তিনি ৬টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান। রিয়াদ ব্যক্তিগত ১৬ রানে বিদায় নেন।কিউই বোলারদের মধ্যে দু’টি উইকেট পান স্পিনার স্যান্টনার। এছাড়া বোল্ট, হেনরি ও জেমিসন একটি উইকেট দখল করেন।

আরও খবর

🔝