gramerkagoj
শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
নামে অভয়ারণ্য, কিন্তু প্রাণীদের বেহাল দশা
প্রকাশ : সোমবার, ১ মার্চ , ২০২১, ০৩:৫৩:৪১ পিএম
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি::
1614592477.jpg
নামে অভয়ারণ্য, প্রাণীরাও চলাফেরা করে নির্ভয়ে। কিন্তু সরকারি খাবারের বরাদ্দ পর্যাপ্ত নয়। এমনই এক সংরক্ষিত বনাঞ্চল টাঙ্গাইলের মধুপুর। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দাবি, প্রাকৃতিক খাবারের জোগান বাড়ানোর জন্য নতুন করে ফলের গাছ লাগানো হচ্ছে। জানা গেছে, নির্ভয়ে বিচরণ আর বিভিন্ন আচরণ দেখে মনে হবে প্রাণীগুলো পোষা, যেন কত দিনের জানাশোনা আশপাশের লোকজনের সঙ্গে। বাস্তবতা হলো-পেটের দায়ে তাদের ভয়ভীতি উবে গেছে, পরিচিত-অপরিচিত বাছ-বিচার নেই। কেবল দুটো দানাপানিই চাই তাদের ক্ষুধা নিবারণে। বানর আর হনুমানের এ বেহাল দশা বহুদিন ধরে। দর্শনার্থীরা বিনোদনের জন্য এসে বরং মর্মাহত হন রুগ্ন দশা দেখে।দেশের তৃতীয় বৃহত্তম ৩০ হাজার একর আয়তনের মধুপুর বনাঞ্চল। স্থানীয়রা জানান, একসময় বাঘ, সিংহ, হাতিসহ অনেক প্রজাতির প্রাণী ছিল। কাগজপত্রে ৪ প্রজাতির উভচর, ৯ ধরনের সরীসৃপ, ২৫৪ প্রজাতির পাখি, ১১ প্রজাতির স্তন্যপায়ীর কথা লেখা থাকলেও বাস্তবে অস্তিত্ব নেই অনেকটির। ৬০টি চিত্রা ও শতাধিক মায়া হরিণ নিয়ে গড়ে ওঠা প্রজনন কেন্দ্রেরও বেহাল অবস্থা।বনখেকোরা নির্বিচারে গাছ কেটে, বন দখল করে কৃষিজমি ও বসতবাড়ি তৈরি করেছে। ফলে প্রাকৃতিক খাদ্য সংকটে পড়ে লোকালয়েও হানা দিচ্ছে প্রাণিগুলো। খাবারের সন্ধানে গিয়ে কখনও সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হচ্ছে।১৯৮২ সালে জাতীয় উদ্যান ঘোষণার পর ২০১০ সাল থেকে আশপাশের ৩৬টি গ্রামের অধিবাসী ও বন বিভাগের সমন্বয়ে সহব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে দেশের বৃহত্তম এ শালবন।

আরও খবর

🔝