gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১২ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ঐতিহাসিক :ফখরুল
প্রকাশ : শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি , ২০২১, ০৭:১৩:০৯ পিএম
ঢাকা অফিস::
1614431734.jpg
শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ অবশ্যই ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, আমরা নতুন করে ৭ মার্চ পালন করছি। এটা নিয়ে প্রশ্ন এসেছে। আসলে নতুন কিছু করতে গেলেই প্রশ্ন আসবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা শুধু ৭ মার্চ নয়, ২ ও ৩ মার্চ পালন করছি। ২ মার্চ কেন পালন করছি? কারণ সেইদিন প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিল আ স ম আব্দুর রব এবং তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।তিনি জানান, ৩ মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেছিল শাহজান সিরাজ। এটাকে অস্বীকার করব কীভাবে। আজকে তার রাজনৈতিক ধারা ভিন্ন হতে পারে। একইভাবে ৭ মার্চের যে ভাষণ শেখ মুজিবুর রহমান দিয়েছিল তা অবশ্যই ইতিহাস। অবশ্যই তার সম্মান-মর্যাদা তাকে দিতে হবে। তার অর্থ এই নয় যে, আপনি যখন ৭ মার্চ পালন করবেন... আগেই শেষ হয়ে গেছে। এটা তো আলোচনার মধ্যেই আছে। মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের স্বাধীনতায় অবদান রাখা জাতীয় নেতাদের অবদানকে অবশ্যই স্বীকৃতি দিতে হবে। একইভাবে জিয়াউর রহমানের অবদানকেও স্বীকার করতে হবে। জিয়াউর রহমানের অবদানকে অস্বীকার করা মানে স্বাধীনতাকেই অস্বীকার করা। স্বাধীনতা কোনো গোষ্ঠী, দল বা ব্যক্তির সম্পত্তি নয়, এটি জনগণের সম্পত্তি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।ইতিহাসের সমস্ত বইয়ে আছে উল্লেখ করে ফখরুল জানান, কাউকে কোনো রকম খাটো করার ইচ্ছা আমাদের নেই। আগেও ছিল না। বিশেষ করে স্বাধীনতার ব্যপারে প্রকৃত সত্য উৎঘাটিত করতে হবে। আমরা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি, তার প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি সময় চোখের সামনে ভাসে। ৯ মার্চ পল্টন ময়দানে মওলানা ভাসানী কী বলেছিল, সেটাও তো ইতিহাস। একইভাবে ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমানের যে ঘোষণার, যার পরিপ্রেক্ষিতে মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েতে অনুপ্রাণিত করেছিল, এটা ইতিহাস। সুতরাং এগুলো কোনটাই অস্বীকার করা যাবে না।তিনি আরো বলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্য যে স্বাধীনতার ৫০ বছর আমরা এতোই বিভক্ত হয় পড়েছি যে, আওয়ামী লীগ শুরু থেকেই জাতিকে স্বাধীনতা পক্ষে-বিপক্ষে, চেতার পক্ষে-বিপক্ষে ভাগ করে ফেলেছে। এ চেতনা নিয়ে কি দেশ স্বাধীন হয়েছিল? যে আমি গণতন্ত্রকে লুট করে নেব। আগের রাতে ভোট করে ক্ষমতা নিয়ে নেবে।স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে চায় বিএনপি। বিএনপির এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।মতবিনিময় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

🔝