gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ ২৬ মার্চ থেকে চলবে ঢাকা-জলপাইগুড়ি ট্রেন

মুজিবনগর-কোলকাতা সড়ক চালুর পথে
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি , ২০২১, ০৯:৪৩:৩৮ পিএম
ঢাকা অফিস:
1614267849.jpg
মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর-কোলকাতা স্বাধীনতা সড়কের কাজ আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। ২৫ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ উদযাপন উপলক্ষে গঠিত উপ-কমিটি'র প্রথম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।এদিকে, ভারতের জলপাইগুড়ি (এনজেপি) ও ঢাকার মধ্যে চালু হচ্ছে রেল যোগাযোগ। আগামী ২৬ মার্চ থেকে এই রেল সেবা চালু হবে। সপ্তাহে দুদিন এ ট্রেন চলাচল করবে। সোম এবং বৃহস্পতিবার ট্রেনটি এনজেপি থেকে ছেড়ে আসবে এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ছাড়বে মঙ্গল এবং শুক্রবার। জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকার দূরত্ব ৫৩০ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ৪৪৬ কিলোমিটার।স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ইতিহাসের সাক্ষী মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আমবাগান ঘেরা গ্রাম এখন মুজিবনগর। এখানেই ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেন। জাতীয় চার নেতাসহ সড়ক পথে বিদেশি সংবাদকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধাসহ এ সড়কে মেহেরপুরের মুজিবনগর আসেন।মন্ত্রী বলেন, মুজিবনগর সরকার, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করতে সরকার মেহেরপুরের মুজিবনগরে ঐতিহাসিক স্বাধীনতা সড়কটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়।দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রী গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে মেহেরপুরের মুজিবনগর অবস্থিত স্বাধীনতা সড়ক পরিদর্শন করে কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।নির্দেশনার পাওয়ার পরপরই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজ শুরু করে এবং এটি এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।সভায় উপ-কমিটির আহ্বায়ক স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/ দপ্তরগুলোর নিজস্ব এবং জাতীয় পর্যায়ে গৃহীতব্য কার্যক্রম আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কমিটির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেন।এছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে একটি ওয়ার্কিং কমিটিও গঠন করে দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং উপ-কমিটির বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে, ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, জলপাইগুড়ি (এনজেপি) ও ঢাকার মধ্যে বিরতিহীন ৯ ঘণ্টার যাত্রায় ট্রেনটি গন্তব্যে পৌঁছবে। ১০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ নিয়ে একটি ডিজেল ইঞ্জিনের মাধ্যমে এটি চলবে। গত ডিসেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকে এ রেলপথ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়।এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের কর্মকর্তাদের বৈঠকে ট্রেন চালুর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পাকশি রেলওয়ে বিভাগের ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম এবং ভারতের পক্ষে কাটিহার বিভাগের ম্যানেজার রবীন্দ্র কুমার ভার্মা।বৈঠক শেষে  রবীন্দ্র কুমার ভার্মা ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মূলত পর্যটন শিল্পকে সামনে রেখেই এই রেল পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে সপ্তাহে দুদিন এই ট্রেন চলবে। ২৬ মার্চ এনজেপি থেকে দুপুর ২টায় ট্রেনটি যাত্রা শুরু করবে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করবেন।এর আগে দুই দেশের মধ্যে দুটি রেল পরিসেবা চালু হয়। ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল চালু হয় মৈত্রী এক্সপ্রেস। বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হয় ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর। নতুন এই ট্রেনটি হবে দুই দেশের মধ্যে তৃতীয় ট্রেন।এছাড়া ভারতের হলদিবাড়ি থেকে বাংলাদেশের চিলাহাটি পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরুর প্রক্রিয়া চলছে।

আরও খবর

🔝