gramerkagoj
বুধবার ● ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১১ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
অস্ত্র-ইয়াবার বিনিময় মূল্য হয়ে উঠেছে সোনার বার
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি , ২০২১, ০৮:৫০:২২ পিএম
:
1614264644.jpg
অস্ত্র ও ইয়াবার বিনিময় মূল্য হিসাবে ব্যবহৃত স্বর্ণ পাচারের নিরাপদ রুট এখন চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমান বন্দর। আন্তর্জাতিক চক্র দুবাই ও ভারত থেকেই নিয়ন্ত্রণ করছে বাংলাদেশের স্বর্ণের চোরাচালান। অভিযোগ উঠেছে, স্বর্ণ পাচারের ক্ষেত্রে বিমানের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততার। তবে নানা জটিলতায় বিদেশি মূল হোতাদের শনাক্ত করা না গেলেও দেশীয় এজেন্টদের অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।বৈধ ও অবৈধ দুই পথেই চট্টগ্রামে আসছে সোনার বড় বড় চালান। সোমবার আবুধাবী থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১৫০ সোনার বার। এর আগে গত অক্টোবর মাসেই ২৫০ পিসের সোনার বড় দু'টি চালান ধরা পড়েছিল। আর ২০১৯ সালে জব্দ করা হয় ১৯৩ কেজি সোনার বার। দুবাইভিত্তিক শক্তিশালী সিন্ডিকেট চট্টগ্রামকে রুট হিসাবে ব্যবহারের চেষ্টা করছে বলে তথ্য কাস্টমসের। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার রোকশানা খাতুন বলেন, আমরা গত কয়েকদিনে দুটি চালান আটক করেছি। এতে বোঝা যায় শাহ আমানত বিমানবন্দরকে চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহার করছে। শুধুই যে অবৈধ পথে স্বর্ণ আসছে তা নয়, শাহ আমানত বিমান বন্দরে গত চার মাসে বৈধ করা হয়েছে ৪ মেট্রিক টনের বেশি সোনার বার। কিন্তু এসব সোনা বাংলাদেশের অলংকারের বাজারে যাচ্ছে না। শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক বাবুল ইকবাল বলেন, মূলত অস্ত্র এবং ইয়াবার মতো মাদকের বিনিময় মূল্য হিসাবেই ব্যবহার করা হচ্ছে এসব সোনা। এগুলো কোথায় যাচ্ছে সেটা বের করার চেষ্টা চলছে।অস্ত্র ও ইয়াবার বিনিময় হিসাবে সোনার বার ব্যবহারের অভিযোগ ওঠায় নতুন করে অনুসন্ধানে নামছে পুলিশ। সিএমপি উপ-কমিশনার মিলন মাহমুদ বলেন, সোনা অস্ত্র বা মাদকের বিনিময় হিসেবে চিহ্নিত হয়, বিষয়টি ইতোমধ্যে আমাদের নজরে এসেছে। আমরা মনে করি অস্ত্র এবং ইয়াবার মতো মাদকের বিনিময় মূল্য হিসাবেই ব্যবহার করা হচ্ছে এসব সোনা চোরাচালান হচ্ছে। সোনার চোরাচালান প্রতিরোধ করার জন্য শুল্ক গোয়েন্দা ও পুলিশ আন্তরিক ভাবে কাজ করবে। 

আরও খবর

🔝