gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ৫ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ প্রচারে এগিয়ে আ’লীগ, কৌশলে বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন নিরব

শেষ মুহূর্তে উত্তাপ বাড়ছে কেশবপুর পৌর নির্বাচনে
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি , ২০২১, ০২:১২:৩৭ পিএম
কামরুজ্জামান রাজু, কেশবপুর (যশোর):
1614240798.jpg
কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে প্রার্থীদের গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণাকালে কয়েকটি অনাকাঙ্কিত ঘটনায় এ উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকজন প্রার্থী প্রতিপক্ষ প্রার্থীর বিরুদ্ধে উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। এছাড়া নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে করা হচ্ছে জরিমানা। এবার প্রথম কেশবপুরে ইভিএমে ভোট হবে বিধায় ভোটারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে কৌতুহলের পাশাপাশি উৎসাহ।শহরসহ পৌরসভার রাস্তাঘাট, অলিগলি ও পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণাসহ মিছিল-মিটিং এর মধ্য দিয়ে জমে উঠেছে নির্বাচন। সর্বত্র ছেয়ে গেছে নির্বাচনী পোস্টারে। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে সমানতালে চলছে সুরেলাকণ্ঠের মাইক প্রচার। সর্বত্রই এখন নির্বাচনকে ঘিরে মুখরোচক আলোচনা। প্রার্থীরা বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চেয়ে নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। তবে এখনো পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও সমর্থিত প্রার্থীরা। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় না থাকায় কৌশলে এগুচ্ছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা। এদিকে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হয়ে আছেন নিরব।নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনে তিন পদে প্রার্থী রয়েছেন ৫৪ জন। এর মধ্যে মেয়র পদে তিনজন প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম (নৌকা), বিএনপির আব্দুস সামাদ বিশ্বাস (ধানের শীষ) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুল কাদের (হাতাপাখা)। ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন পুরুষ ও সংরক্ষিত আসনে ১৩ জন নারী প্রার্থী রয়েছেন।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান মেয়র রফিকুল ইসলামের পক্ষে তার কর্মী ও সমর্থকরা নির্বাচনী এলাকার প্রধান প্রধান মোড়ে পথসভা, এলাকায় উঠান বৈঠক, গণসংযোগসহ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে ভোট প্রার্থণা করে চলেছেন। নৌকা প্রতীকের প্রতিটি নির্বাচনী কার্যালয় থাকছে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতিতে সরব।বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সাবেক মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস পুণরায় বিজয়ী হতে কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে গণসংযোগ এবং ভোট প্রার্থণা করছেন। থানার মোড়সংলগ্ন বিএনপি অফিসের পাশে ধানের শীষ প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় ছাড়া আর কোনো অফিসের তথ্য পাওয়া যায়নি। এ কারণে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় না থাকায় এবারের নির্বাচনে বিএনপি কৌশলে এগুচ্ছেন। ইভিএমে ভোট হওয়ায় ভোটাররা ঠিকভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের আব্দুল কাদেরের পক্ষে দেখা যায়নি তেমন কোনো প্রচার-প্রচারণা কিংবা গণসংযোগ। তবে তিনি শহরের মাইকেল মোড়ে সংগঠনের কার্যালয়ে নির্বাচনী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।এছাড়া, ৯টি ওয়ার্ডের পুরুষ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররা তাদের নিজ নিজ এলাকায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রচারপত্র বিতরণ করে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট প্রাথণা অব্যাহত রেখেছেন। তবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণে অনেকটা বিপাকে রয়েছেন।উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় পাঁচ কাউন্সিলর প্রার্থী ও একজন কর্মীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ২৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাবলে ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫টি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে দু’মেয়র ও তিন কাউন্সিলর প্রার্থীর অভিযোগ রয়েছে।উপজেলা নির্বাচন অফিসার বজলুর রশিদ জানান, কেশবপুর পৌরসভার ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার সাতশ’ ৭৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দশ হাজার দুশ’ আটজন এবং নারী দশ হাজার পাঁচশ’ ৬৭ জন। দশটি ভোট কেন্দ্রের ৬৩টি কক্ষে পঞ্চম ধাপের এ নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

আরও খবর

🔝