gramerkagoj
শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৫ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
৮ কোটি টাকার সম্পত্তি জবরদখলে রেখেছে সাড়াপোলের বিল্লাল চক্র

❒ রায় পক্ষে হলেও হুমকিতে মালিকপক্ষ

প্রকাশ : বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি , ২০২১, ০৮:২৩:৫৬ পিএম
অভিজিৎ ব্যানার্জী:
1614176943.jpg
আইন, আদালত কিছুই মানছে না যশোরের সাড়াপোল এলাকার একটি সংঘবদ্ধ চক্র। মামলার রায়কে উপেক্ষা করে প্রায় আট কোটি টাকা মূল্যের ১২ একর জমি জবর দখলে রেখে নির্মাণ চালিয়ে যাচ্ছে। ওই চক্রের হোতা ঝিনাইদহ সদর থানায় কর্মরত এসআই বিল্লাল হোসেন জবর দখল অপকর্মের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় সরকারের উপর মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জমির প্রকৃত মালিকগণ।ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ও আদালত সূত্রে তথ্য মিলেছে, ভুল বশত রেকর্ডকে পুঁজি করে যশোরের ৬৭ নাম্বার সাড়াপোল মৌজার ৬৯৯ ও ১১৫ এসএ খতিয়ানের ৯টি দাগের ১২ একর ১৫ শতক জমি জবর দখল করে ৪ জনের একটি চক্র। সাড়াপোলের নূর মোহাম্মদের নামীয় ওই ১২ একর জমি জবরদখল করেন একই গ্রামের হেদায়েতুল্লাহর ছেলে পুুলিশের এসআই বিল্লাল হোসেন, মৃত আনারুলের ছেলে তিতু মিয়া, মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে  আবু হাসান ও মণিরামপুরের শিরালি গ্রামের লতিফ ঢালির ছেলে  মোস্তফা। নুর মোহাম্মদের নামীয় ওই জমির প্রকৃত উত্তরসুরী তার ৯ সন্তান। এদের মধ্যে তার বড় ছেলে আবুল কাশেম ব্যাপারী ও অপর ছেলে আমিন ব্যাপারী এ ঘটনায় রেকর্ড সংশোধনী মামলা করেন আদালতে। ২০০৯ সালে আদালতে করা রেকর্ড সংশোধনী মামলা (০৬/২০০৯) রায় হয় ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল। ওই রায়ের আদেশ নাম্বার ০৬। কিন্তু আদালতের রায় মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলেদের পক্ষে আসলেও এসআই বিল্লাল হোসেনের চক্রান্তে ও নেতৃত্বে বিশাল টাকার ওই জমি এখনও আয়ত্বে রেখেছে চক্রটি। নানা জাল জালিয়াতিপূর্ণ কাগজের আশ্রয় নিয়ে মৃত নুর মোহাম্মদের সন্তানদের পথে বসানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ওই বিল্লাল হোসেন গং। জমি জবর দখলের প্রতিবাদ করায় ওই এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে কুট্টিকে খুন করা হয়। যদিও ওই হত্যাকান্ডের ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়। চক্রটি শুধু জমি জবর দখলেই খ্যান্ত হয়নি, জাল কাগজপত্রের বুনিয়াদে অনেকের কাছে হস্তান্তরও করেছে। এদিকে, মামলার রায় পক্ষে পেলেও জমি দখল বুঝে পাননি আবুল কাশেম ও আমিন ব্যাপারী গং। বিল্লাল চক্রের জাল কাগজের ব্যাপারেও মামলা করেন আবুল কাশেম ব্যাপারী। এরপর তাদের হত্যাসহ নানামুখি হুমকি দেয়া শুরু করে চক্রটি। এছাড়া বানোয়াট অভিযোগ তুলে মামলা করে হয়রানী শুরু করে। যাতে তারা জমির কাছে আসতে না পারে। এভাবে কেটে যাচ্ছে বছরের পর বছর।আবুল কাশেম ব্যাপারী ও আমিন ব্যাপারী জানিয়েছেন, তারা বৈধ জমি উদ্ধার করতে প্রায় এক যুগ আইনের আশ্রয় নিয়ে লড়ছেন। রায়ও পক্ষে পেয়েছেন। কিন্তু সন্ত্রাসী প্রকৃতির দখলবাজদের কাছ থেকে জমি উদ্ধার করতে পারছেন না। পেশী শক্তি ও স্থানীয় লোকজনের ব্যবহার করে ওই ১২ একর জমি আঁকড়ে আছে বিল্লাল হোসেন চক্র। এখানেই শেষ নয়,  মণিরামপুরের ৭৫ নাম্বার মদনপুর মৌজায় চক্রটি আরো ৩৮ শতক জমি একই প্রক্রিয়ায় জবর দখলে আছে। জবরদখলে রাখা প্রায় আট কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য তারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এছাড়া তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে লিখিত আবেদন দেবেন বলেও জানান। 

আরও খবর

🔝