চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অভয়নগরের এক নারীকে যশোরে ডেকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  এই লোমহর্ষক ঘটনার দুই মাস আগে ওই নারীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় বলেও অভিযোগে প্রকাশ। ভূক্তভোগীকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। থানার ওসির দাবি,  অপরাধীরা কেউ ছাড় পাবে না। ভিকটিমের বক্তব্য অনুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।থানা সূত্র জানিয়েছে, অভয়নগর উপজেলার পায়রাগ্রামে নানি বাড়ি বসবাস করা এক নারীকে ১২ ফেব্রুয়ারি যশোরের বাহাদুরপুর এলাকায় ডেকে আনা হয়। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাহাদুরপুর বাঁশতলা এলাকায় ওই নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। তথ্য মিলেছে, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে খুলনার ফুলতলা উপজেলার পত্তিপুরগ্রামের মানিক কুণ্ডু ওই নারীকে একটি চাকরি পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ২০ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেন। এরপর গত দুই মাস ধরে তাকে চাকরি না দিয়ে নানা টালবাহানা করে আসছিলেন। এ নিয়ে ওই নারী মানিককে চাপ দিলে তাকে চাকরির জন্য যশোরে নিয়ে যাবে বলে জানায়। সেই প্রেক্ষিতে মানিক তাকে নিয়ে যশোরে আসে। এরপর তিনি আরও দুজনকে সাথে নেন। ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে একটি অটো রিকশাযোগে হাশিমপুর যাবার পথে বাঁশতলায় মানিকসহ তিনজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ওই পথের এক পথচারী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।এ ব্যাপারে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি তৌহিদুল ইসলাম ও যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, ঘটনার ব্যাপারে তদন্ত চলছে। ওই  নারীর সাথে পুলিশ কথা বলেছে। তার বক্তব্যের উপর প্রাথমিক তদন্ত হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। অপরাধীরা দ্রুতই আটক হবে। জড়িতরা কেউ ছাড় পাবে না।এ ব্যাপারে যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আজিজুল হাকিম জানিয়েছেন, ওই নারীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।