gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না পাঁচ বন্ধুর!

❒ বারবাজারে বাস দুর্ঘটনা

প্রকাশ : বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি , ২০২১, ০৯:৫১:৫২ পিএম
কাগজ সংবাদ:
1612972383.jpg
পাঁচ বন্ধু একসাথে পরীক্ষা দিতে আসলেও একসাথে বাড়ি ফেরা হলো না। লাশ হয়েছেন দু’জন। তিনজন আহত হয়ে কাতরাচ্ছেন হাসপাতালে। যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের বারবাজারে সংঘটিত দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।যশোর সরকারি এমএম কলেজের মাস্টার্সের পাঁচ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে বুধবার বিকেলে বাসযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বারবাজারে পৌঁছালে দুর্ঘটনায় পতিত হয় বাসটি। ঘটনাস্থলেই মারা যান দু’ বন্ধু। আর তিনজন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হতাহত পাঁচ বন্ধু হচ্ছেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর গ্রামের মাহফুজুর রহমান, হরিন্দ্রা গ্রামের হারুন অর রশিদ, আন্দোলপোতা গ্রামের এনামুল হক, কালীগঞ্জ উপজেলার লাউদিয়া গ্রামের আব্দুর রহিম ও সদর উপজেলার ডাকবাংলা নাথকুন্ডু গ্রামের ইউনুছ আলী। এই পাঁচ বন্ধুর সবাই যশোর সরকারি এমএম কলেজের সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার্সের ছাত্র। বুধবার তাদের পরীক্ষা ছিল। তারা পাঁচ বন্ধু একসাথে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। তাদের পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল যশোর সরকারি সিটি কলেজে। পরীক্ষা শেষ করে শহরের পালবাড়ি থেকে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে জে কে পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে (ঢাকা-মেট্রো-গ ১১-০২১৪) ওঠেন। বাসটি ছাড়ার ঠিক ৩২ মিনিট পর বারবাজারে দুর্ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন আহত মাহফুজুর রহমান। পাঁচ বন্ধুর  মধ্যে হারুন অর রশিদ ও এনামুল হক দুর্ঘটনা কবলিত বাসের মধ্যেই মারা যান বলে জানিয়েছেন অপর বন্ধু আহত মাহফুজুর রহমান। আহতদের মধ্যে ইউনুছ আলী ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল এবং আব্দুর রহিম ও মাহফুজুর রহমান যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ইউনুছ আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন মাহফুজ। মাহফুজুর রহমান কাঁদতে কাঁদতে বলেন, তাদের পাঁচ বন্ধুর মধ্যে বেশ মিল ছিল। এক সাথে পড়ালেখা এবং চলাফেরা করতেন।

আরও খবর

🔝