gramerkagoj
শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
ভারতে কৃষকের স্বার্থবিরোধী নতুন আইন স্থগিত
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি , ২০২১, ০৫:৪৬:৩৫ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ::
1610452901.jpg
ভারতে কট্টরপন্থি বিজেপি সরকারের করা কৃষকের স্বার্থবিরোধী নতুন তিনটি আইন স্থগিত করেছে দেশটির সুপ্রিমকোর্ট। একইসঙ্গে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এটি স্থগিত থাকবে। শীর্ষ আদালত আরও বলেছে, সংকট নিরসনে কৃষকদের সাথে আলোচনা করার জন্য কৃষি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে।স্থগিত করা নতুন তিনটি কৃষি আইন প্রথম থেকেই ব্যাপক কৃষক বিক্ষোভের জন্ম দেয়। সেপ্টেম্বরে প্রণীত আইনগুলির ওপর সুপ্রিমকোর্টের স্থগিতাদেশ সরকারের কাছে নতুন এক ধাক্কা।প্রধান বিচারপতি এস এ ববদে বলেছেন, “পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আমরা তিনটি ফার্ম আইন স্থগিত করছি।” এর জবাবে সরকার আদালতকে বলেছিল যে আইনগুলি ‘তড়িঘড়ি তৈরি করা হয়নি’, এগুলি দুই দশকের আলোচনার ফলাফল ছিল।নতুন কৃষি আইন নিয়ে গত এক মাসে কৃষক ইউনিয়নের সাথে আট দফায় আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সরকার দৃঢ়ভাবে আইনটি প্রত্যাহারের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে। এবং জোর দিয়ে বলে যে সংশোধনীর সুযোগ এখও টেবিলে রয়েছে।সুপ্রিমকোর্ট বলেছে যে সমস্যাটি সর্বোত্তম উপায়ে সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং আইনগুলি স্থগিত করার ক্ষমতা ছিল।প্রধান বিচারপতি বলেন, “এগুলো জীবন ও মৃত্যুর ব্যাপার। আমরা আইনটির ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। আমরা এর কারণে সৃষ্ট আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত জীবন ও সম্পদের ব্যাপারেও উদ্বিগ্ন। আমরা সমস্যাটি সর্বোত্তম উপায়ে সমাধানের চেষ্টা করছি। আইনটি স্থগিত করার এই একটি ক্ষমতাই আমাদের আছে।”তিনি বলেন, “আমরা সমস্যাটির সমাধান করতে চাই, এজন্যই আমরা বিশেষজ্ঞ কমিটি করছি। আমাদেরকে নাম দিন, আমারা সিদ্ধান্ত নেব।”একইসঙ্গে দিল্লি পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৬ জানুয়ারি রিপাবলিক ডে’তে দিল্লিমুখি ট্রাক্টর র‌্যালি বন্ধে কৃষক ইউনিয়নকে নোটিশ দিয়েছে।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করায় কৃষকরা কমিটিতে অংশ নেবেন না বলায়, কৃষকদের আইনজীবী এমএল শর্মাকে বিচারকরা তিরস্কার করেন। এ ব্যাপারে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রীকে কিছু জিজ্ঞাসা করতে পারি না, তিনি আমাদের আগে কোনও দল নন”।এর আগে সোমবার (১১ জানুয়ারি) সুপ্রিমকোর্ট বলেছিল, সরকার যেভাবে এই সঙ্কট মোকাবেলা করছে তা “অত্যন্ত হতাশাজন”।ভারতের প্রধান বিচারপতি এস এ ববদে তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, ‘কিছু ভুল হলে প্রত্যেককেই আমরা আমাদের দায়বদ্ধ করব। আমরা আমাদের হাতে কোনও আঘাত বা রক্ত চাই না।’কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কৃষক আন্দোলনের নিষ্পত্তি করার জন্য আরও সময় চাওয়া হলে প্রধান বিচারপতি সরাসরি বলেন, “আমাদের আদৌ মনে হচ্ছে না সরকার ঠিকমতো বিষয়টা সামলাতে পারছে। এখন কৃষক আন্দোলনকে ঘিরে রক্ত ঝরলে আপনারা কি দায় নিতে প্রস্তুত?”প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধানে আগ্রহী। আইন স্থগিত রাখার বিষয়ে কেন কেন্দ্রের তরফে কোনও উত্তর নেই? যদি কেন্দ্র আইন স্থগিত রাখতে রাজি হয়, তাহলে আমরাও কৃষকদের আলোচনায় বসতে বলব।”যদিও আদালতের প্রস্তাবের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল ওই আইন স্থগিত করার প্রস্তাব কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

আরও খবর

🔝