প্রকাশ : মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি , ২০২১, ০২:১৫:০৫ পিএম
যশোরে মঙ্গলবার গভীর রাতে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা ও জনপ্রতিনিধির বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব বাড়িগুলোতে ব্যাপক ভাংচুর করা ছাড়াও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। এসময় সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একজন আওয়ামী লীগ নেতার অভিযোগ পুলিশের পোষাক পরে এসব হামলা চালানো হয়।যশোর পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার রাত পৌনে দু’টোর দিকে তার বাড়িতে হামলা হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সংঘবদ্ধ একদল ব্যক্তি ‘ধর ধর’ করে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় ইট দিয়ে বাড়ির দু’তলার ঘরের জানালা ভাংচুর করা ছাড়াও গেইটে একের পর এক আঘাত করা হয়। এসময় আশপাশ থেকে মানুষজন বেরিয়ে আসলে তাদেরকে নিবৃত করে হামলাকারীরা। গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা সবাই পুলিশের পোষাক পরা ও অস্ত্র হাতে ছিল। তিনি এ ঘটনাকে নারকীয় অভিহিত করে বলেন, ‘এটাতো কোনো অসভ্য দেশ না। এখানে পুলিশের দায়িত্ব মানুষকে নিরাপত্তা দেয়া। তা না করে রাতের আধারে একজন জনপ্রতিনিধির বাড়িতে ডাকাতের মতো হামলা চালানো হয়েছে। যেভাবে গালিগালাজ আর ভাংচুর করা হয়েছে তা অবর্ণনীয়’। তিনি এই ঘটনার বিচার দাবি করেন।যশোর জেলা যুবলীগের সদস্য মুনসুর আলম অভিযোগ করেছেন, তার উপশহর সি ব্লকের বাড়িতে মঙ্গলবার রাত ২টা ১৮ মিনিটে হামলা হয়। হামলাকারীরা তার বাড়ির জানালার গ্লাস ভাংচুর করা ছাড়াও সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করেছে। হামলাকারীরা সংঘবদ্ধ থাকলেও তারা কারা তা তিনি বলেন নি।মুনসুর আলমের বাড়ি হামলার পর পরই উপশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানুর রহমান লিটুর বাড়ি এবং যুবলীগ নেতা সোহাগের ঘোপের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন তারা। সোহাগের বাড়িতে ঘরের জ্বানালা ভাংচুর করা হলেও চেয়ারম্যান লিটুর বাড়িতে যেয়ে গালিগালাজ করে চলে আসে হামলাকারীরা।যশোর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে তার বাড়িতেও হামলা হয়েছে। হামলাকারীরা এক ভাড়াটিয়ার বাড়ি ভাংচুর করেছে বলেও তিনি জানান।এ ব্যাপারে যশোর পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সাথে গ্রামের কাগজের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।