gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৪ চৈত্র ১৪৩০
gramerkagoj
মাশরাফির বিকল্প ভাবা হচ্ছে যাদের
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারি , ২০২১, ০৬:০৮:১৭ পিএম
ক্রীড়া ডেস্ক::
1609848527.jpg
ভবিষ্যতের কথা বলার অর্থই হচ্ছে, মাশরাফির বর্তমান পারফরম্যান্স নির্বাচকদের পছন্দ নয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে মাশরাফির শূন্যস্থান পূরণ কি হবে। মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, আল আমিন হোসেন, তাসকিন আহমেদ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেস বোলিংয়ের পুরোনো ভরসা। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এরাই ছিলেন মাশরাফির সঙ্গী। হালে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন নিজেকে কার্যকর প্রমাণ করেছেন। নতুন এসেছেন হাসান মাহমুদ। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের শরিফুল ইসলাম। মাশরাফির বিকল্প নিয়ে আলোচনা তাই টেস্টে আবু জায়েদ আর এবাদত হোসেনের আলোচনাটা এখানে করা হচ্ছে না। তালিকাটিতে বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ পেসার থাকলেও মাশরাফিকে কখনোই ছাড়িয়ে যেতে পারেননি।মাশরাফি না থাকলে বড় দায়িত্বটা এখন কার ঘাড়ে পড়বে। বিশ্বকাপের পর শফিউল ইসলাম দলে ফিরে সে দায়িত্ব কিছুটা হলেও পালন করেছেন। শফিউলের অভিজ্ঞতাও কাজে লাগতে পারে। পাওয়ার প্লেতে উইকেট দিয়েছেন দলকে। ওয়ানডে কিংবা টি-২০’তে প্রায় প্রতি ম্যাচেই শফিউল নতুন বলে উইকেট দিয়েছেন। তবে দুর্ভাগ্য, চোটের কারণে শফিউলও নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দলে। মোস্তাফিজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সফল, তাঁকেও দায়িত্ব নিতে হবে। এ মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনিই সবচেয়ে কার্যকর পেসার বাংলাদেশের। যদিও তিনি মাঝের ওভার, আর শেষের দিকেই ভালো বোলিং করেন। রুবেল হোসেন অভিজ্ঞ হলেও মাঝের অনেকটা সময় তিনি নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন। সম্প্রতি করোনার বিরতি কাটিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-২০’তে তাঁকে বেশ ক্ষুরধার লেগেছে। নতুন বলে বেশ কিছু দারুণ স্পেল উপহার দিয়েছেন শেষ দুই ঘরোয়া টুর্নামেন্টে। তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকারদের মতো দেশের সেরা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছেন লেংথ থেকে ভেতরে আসা বলে।তাসকিনের অবস্থাও একই। তিনিও মাঝের একটা বড় সময় নিজেকে নিয়ে লড়েছেন। তিনিও সাম্প্রতিক কালে ভালো করছেন। তবে মাশরাফির বিকল্প হওয়ার দৌড়ে অন্তত নতুন বলে নিজেকে যে সাইফউদ্দিন ভালোই এগিয়ে রেখেছেন, সেটা বলে দেয় তাঁর পরিসংখ্যানই।নতুনদের মধ্যে আছেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। শরিফুল বাঁহাতি। এটিই শরিফুলের বাড়তি সুবিধা। অ্যাঙ্গেলের কারণে যেকোনো বাঁহাতি বোলারই সাদা বলে বেশ কার্যকর। যদি তার ইনসুইং থাকে, তাহলে তো কোথাই নেই। এখন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে শরিফুলকে সুইং করাতে দেখা না গেলেও নতুন বলে ভালোই করেছেন বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে। গতি ও বাউন্সের সঙ্গে আগ্রাসী মনোভাব শরিফুলের মূল শক্তি।হাসানকে ধরা হয় বাংলাদেশ পেস বোলিংয়ের ভবিষ্যৎ। পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন হাসানের দক্ষতার ভক্ত। পরিষ্কার অ্যাকশন, গতি, সিম পজিশন—সবই হাসানকে আলাদা করে। সাদা বলে ক্রিকেটে পাওয়ার প্লে, মিডল ওভার ও ডেথ ওভার—তিন অবস্থার বোলার হতে পারেন তিনিও। দেশের হয়ে মাত্র একটি টি-২০ ম্যাচ খেলা হয়েছে হাসানের। আরও সুযোগ পেলে কেমন করেন, সেটিই দেখার বিষয়। এত কিছুর পরও মাশরাফির বিকল্প আপাতত নেই এটিই বাস্তবতা।

আরও খবর

🔝