gramerkagoj
শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
ফরিদপুরে রাজু সাহা হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারি , ২০২১, ০৫:০৭:২৩ পিএম
কাগজ ডেস্ক ::
1609844875.jpg
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের মাঝকান্দির দাসপাড়া গ্রামের রাজু সাহা (২২) হত্যা মামলায় জসিম মোল্যা (২১) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জসিমের বাড়ি রাজবাড়ির বামুন্দি বালিয়াকান্দি গ্রামে। পিতার নাম মৃত মজিদ মোল্যা।মঙ্গলবার ভোররাতে তাকে বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদি চরপাড়া হতে পুলিশের একটি দল আটক করে।এ সময় তার দেখানো তথ্য অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি রডসহ নিহতের দুটি সোনার আংটি, একটি ব্রেসলেট ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ বিভাগ) জামাল পাশা আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।তিনি জানান, জসিম নিহত রাজুর বড় ভাই সুমন সাহার নির্মিতব্য দ্বিতল ভবনের রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন। সেই সুবাদে তিনি রাতের বেলায় নির্মিতব্য ওই ভবনেই থাকতেন। আর রাজুর মা ও বোন কিছু দূরে একটি বাসায় থাকতেন। তার বড় ভাই সুমনের বড় একটি মিষ্টির দোকান রয়েছে ঢাকায় ‘বিক্রমপুর মিষ্টান্ন’ নামে।এদিকে নিহত রাজুকে স্বামী দাবি করে তাকে মুসলিম রীতিতে দাফনের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করেছে ৬ মাসের শিশু সন্তানের মা নাসরিন বেগম (২০)।তার দাবি, ঢাকার সিএমএম কোর্টে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ২০১৮ সালের ৫ জুন রাজু ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হন। রাজু সাহা হতে নিজের নাম পরিবর্তন করে মাহমুদ আহমেদ রাখে। ওই বছরের ৭ জুন নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। ৬ মাসের শিশু সন্তানটিও তাদের। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নাসরিনের দেয়া তথ্যের সত্যতা যাচাই করার জন্যে মধুখালী থানার একজন এসআই সাইফুদ্দিনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নাসরিনের বাড়ি মধুখালির আড়পাড়া গ্রামে। বাবার নাম জাকির খান।সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ বিভাগ) জামাল পাশা বলেন, দুটি কারণে রাজু হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। প্রথমত, জসিম ওই বাড়ির রাজমিস্ত্রির কাজ করলেও বেতন মজুরি পাচ্ছিল না। এ জন্য সে অর্থকষ্টে রাজুকে খুন করে আংটি, ব্রেসলেট ও মোবাইল হাতিয়ে টাকা জোগাড়ের চিন্তা করেছিল। এ ছাড়া ওই গ্রামেরই একটি মেয়ের প্রতি তারা দুজনের আকৃষ্ট হয়ে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছিল। রাজু ও জসিম দুজনেই নেশায় আসক্ত ছিল। তারা ইয়াবা ও গাঁজা সেবন করত।তিনি জানান, জসিমকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে সে স্বীকার করেছে যে গত ২ জানুয়ারি নির্মিতব্য ওই ভবনের আরেক মিস্ত্রি সোহেল না থাকায় রাতে রাজুকে ওই বাড়িতে থাকার অনুরোধ জানান জসিম। এরপর গভীর রাত পর্যন্ত তারা মাদক সেবনের পর রাত সাড়ে তিনটার দিকে রাজু প্রকৃতির ডাকে বাইরে যায়। এ সময় বসে থাকা রাজুর মাথায় পেছন দিক হতে রড দিয়ে সজোরে আঘাত করে তাকে হত্যার পর সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে গোপন করে। আর সকালে কাউকে কিছু না জানিয়ে বিছানাপত্রসহ জসিম কাদিরদি গ্রামে চলে যায়। তার পরদিন সকালে পরিবারের লোকেরা খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রাজুর মা অরুণা রানী সাহা বাদী হয়ে মধুখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুরের ডিআইওয়ান নুরুল আলম, ওসি (ডিবি) সুনীল কর্মকার. তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফরহাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

🔝