gramerkagoj
শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
চিতলমারীতে গড়ে উঠেছে বিষমুক্ত শুটকি পল্লী
প্রকাশ : শনিবার, ২১ জানুয়ারি , ২০১৭, ১২:১৯:০০ এ এম
চিতলমারী প্রতিনিধি ::
1484927838.jpg
বাগেরহাটের চিতলমারীতে বিষমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন শুটকি পল্লী গড়ে উঠেছে। এ শুটকি পল্লীকে ঘিরে গ্রামের বেকার নারীরা খুঁজে পেয়েছেন কর্মসংস্থান। সুযোগ হয়েছে সংসারের কাজের পাশাপাশি নগদ টাকা আয়ের একটা ব্যবস্থা। সেই সুবাদে এখানে প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও সম্পূর্ণ বিষমুক্ত মণকে মণ শুটকি মাছ। দেশের বিভিন্ন শহরে রয়েছে এখানের পুঁটি মাছের শুটকির ব্যাপক চহিদা। তাই শুটকি ব্যবসায়ীরা দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন কুড়ালতলা শুটকি পল্লীতে। সরেজমিনে জানা গেছে, চিতলমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ মুজিবর রহমান, গোবিন্দ লাল, রোকা শেখ, সোয়েব গাজী, ইমতিয়াজ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন মিলে উপজেলার কুড়ালতলা মোড়ে বিশাল ফাঁকা জমি আলাদা আলাদা ভাবে ভাড়া নিয়ে গড়ে তুলেছেন এ শুটকি পল্লী। এখানে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও সম্পূর্ণ বিষমুক্ত রেখে শুটকি মাছ উৎপাদন করা হয়। তাই এখানকার পুঁটি মাছের শুটকির ব্যাপক চহিদা রয়েছে।  শুটকি পল্লীর শ্রমিক কবির সরদার জানান, তারা প্রতিদিন সকালে কুয়াশা ও সূর্যের সাথে তালমিল রেখে উপজেলার বিভিন্ন মৎস্য আড়ৎ থেকে প্রতিমণ দেশি পুঁটি মাছ ছয় থেকে আট হাজার টাকা দরে ক্রয় করেন। সেগুলো শুটকি পল্লীতে কর্মরত মহিলারা আঁশ ফেলে ভাল করে ধুয়ে রোদে শুকাতে দেন। মাছ পরিস্কার করতে মহিলারা কেজি প্রতি তিন টাকা করে নেন। এতে তাদের দু’তিন ঘন্টার মধে ১০০-১৫০ টাকা আয় হয়। তিন থেকে চার দিনের রোদে মাছ শুকিয়ে শুটকি হয়ে যায়। পরে শুটকি বড়, মাঝা, ক্যাট ও গাদড় হিসেবে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। সেগুলো ফরিদপুর, কুমিল্লা, ঢাকা ও জামালপুরসহ বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা ২০-২২ হাজার টাকা মণ দরে কিনে নিয়ে যায়। শুটকি পল্লীতে কর্মরত নারীকর্মী আম্বিয়া বেগম, মাতোয়ারা, সামিনা, নিলা ও রতœাসহ অনেকে জানান, তিন টাকা করে তাদের কম হয়ে যায়। কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা করে দিলে তাদের পুষিয়ে যেত।এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও শুটকি উৎপাদনকারী শেখ মুজিবর রহমান জানান, এখানে সম্পূর্ণ বিষমুক্ত ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন শুটকি মাছ উৎপাদন হয়। এছাড়াও চিতলমারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শুটকি পল্লী গড়ে উঠছে বলেও তিনি জানান।

আরও খবর

🔝