gramerkagoj
বুধবার ● ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১১ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
রংপুরে সাংবাদিক উৎস খুনের পর উদ্ধারকৃত আলামতের ডিএনএ টেস্টের দাবি
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি , ২০১৭, ০৫:০২:৫২ পিএম
হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর ::
1484219009.jpg
রংপুর থেকে প্রচারিত দৈনিক যুগের আলো পত্রিকার স্টাফ রির্পোটার  ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামে জেলা কমিটির সদস্য সচিব মশিউর রহমান উৎস খুন হওয়ার পর আলামত হিসেবে যা পাওয়া গেছে তার ডিএনএ টেস্টের দাবি জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে উৎস’র বাবা, মা ও বড় বোন এ দাবি জানিয়ে বলেন এক মাসের মধ্যে উদ্ধারকৃত আলামতের ডিএনএন টেস্ট করা না হলে পরিবারের সবাই প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উৎস’র বড় বোন মোরশেদা বেগম বলেন উৎস   গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর রাতে নগরীর অদূরে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পশ্চিমে নৃশংসভাবে খুন হয়। খুন হওয়ার এক বছর পরেও মামলার কোন অগ্রগতি হয়নি। প্রশাসন অনেক মামলার দ্রুত রহস্য উদঘাটন করে থাকে। কিন্তু উৎস’র ঘটনায় কোনই অগ্রগতি হয়নি। উৎসর মা নুরজাহান বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, উৎস আমাদের পরিবারে এক মাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিল। তার মৃত্যুর পর আমারা মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সহয়োগিতা কামনা করছি। উৎসর বাবা সামছুল হুদা প্রামানিক বলেন, আমার সন্তানের প্রকৃত খুনিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন মহলের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। কিন্তু বিচার পাচ্ছি না। এক মাসের মধ্যে খুনের পর উদ্ধারকৃত আলামতের ডিএনএ টেস্ট না হলে আমারা আমরণ অনশনে গিয়ে আত্মহুতি দিব। গত বছর ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নগরীর জিএল রায় রোডস্থ দৈনিক যুগের আলো পত্রিকায় দায়িত্ব পালন রত অবস্থায় আত্মীয়ের বাড়িতে নিমন্ত্রণ আছে জানিয়ে পত্রিকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানিয়ে অফিস থেকে তার ব্যবহৃত মটর সাইকেল নিয়ে চলে যায় উৎস। এর পর রাতে আর বাসায় ফেরেনি সে। পরের দিন সকালে রংপুর নগরীর ধান গবেষন্ াইন্সটিটিউটের অদুরে রংপুর ঢাকা মহাসড়কের কাছে একটি গাছের সাথে বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খুনিরা  তাকে ধরে নিয়ে মুল সড়কের একশ গজ দুরে একটি ইউক্লিপটাস গাছের সাথে বেঁধে মাথায় কুপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করে দ্রুত ঘটনা স্থল ত্যাগ করে চলে যায়। যাতে সহজে কেউ চিনতে না পারে সে জন্য তার মাথাটি মানকি ক্যাপ দিয়ে ঢেকে রেখে যায় দুবৃর্ত্তরা। সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ও তার সহকর্মীরা ঘটনা স্থলে গিয়ে সাংবাদিক উৎস রহমানের লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় নিহত উৎস রহমানের মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।এদিকে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে সাংবাদিক উৎস রহমান হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন মাদক সা¤্রাজ্ঞি রয়েছেন। ইতিমধ্যে মাদক সা¤্রাজ্ঞি জহিরুন্নেছা গেদী ও তার বডি গার্ড রিপন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে হত্যাকান্ড সম্পর্কে অনেক গরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে। এ ছাড়াও নিহত সাংবাদিক উৎস রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ক্যামেরা ও মটর সাইকেলটি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। 

আরও খবর

🔝