gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
মেট্রোরেলে শিক্ষার্থীদের ভাড়া কমানো সম্ভব নয় : ওবায়দুল কাদের
প্রকাশ : রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪, ০৫:১৬:০০ পিএম , আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল , ২০২৪, ১০:৪৮:৩০ এ এম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2024-02-04_65bf5a2416b66.jpg

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মেট্রোরেলে শিক্ষার্থীদের জন্য ভাড়া কমানো সম্ভব না। এই নিয়ম পৃথিবীর কোথাও নেই।
রোববার (৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, এখন রিকশায় উঠলেই তো ৩০ টাকা লাগে। কোথায় যাবেন সেটা ভিন্ন কথা। আর মেট্রো একটা আধুনিক গণপরিবহন। এখানে উৎসাহিত করার কথা। এগুলো অবান্তর দাবি। এ দাবির কোনো যুক্তি নাই।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘চীনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে আমাদের এখন যে বিষয়টি, একটা তো চলমান ইস্যু রয়েছে, রোহিঙ্গাদের বিষয়। এ বিষয়ে চীন একটা ভূমিকা নিতে পারে। এখানে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা হয়ে গেছে ১৩ লাখের মতো। এটা আমাদের জন্য অতিরিক্ত বোঝা। এমনিতেই বিশ্ব সংকটের কারণে আমরা সংকটে আছি। তারপরে এতোগুলো লোককে খাওয়ানো, এদের যে সাহায্যটা আসতো, সেটাও আগের থেকে অনেক কমে গেছে।’
মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা যখন আসা শুরু করে, তখন চীন একটা দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগ নিয়েছিল। সেই উদ্যোগ এখনো চলমান। আপনার কাছে কী মনে হচ্ছে না, চীন এখানে খুব কৌশলী হয়ে কাজ করছে, যে কারণে কোনো ফল আসছে না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘চীনা রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছেন। একটা বন্ধুদেশের রাষ্ট্রদূত এসেছেন। আমি কী তার সঙ্গে ঝগড়া করবো? যেভাবে বলার, যতটুকু বলার, আমি বলেছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এসব সমস্যা আমাদের জন্য অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, সে জন্য চীন যেটা করতে পারে, তারা এখানে আমাদের সমর্থন দিয়েছেন। নির্বাচনের পরেও এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পালাক্রমে মন্ত্রীদের সঙ্গেও দেখা করছেন। তাদের যা বলা উচিত, আমরা সেটা বলেছি।’
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের জন্য একটা বিরাট বোঝা উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি তাদের প্রত্যাবাসন করা যায়, মিয়ানমার যত তাড়াতাড়ি তাদের সসম্মানে ফেরত নেয়, তাদের নাগরিকদের, সে ব্যাপারে চীন একটা ভূমিকা রাখতে পারে। বর্তমানে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত, এখন যেটা আরাকান আর্মি, এটার রেশ আমাদের সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত এসে গেছে। আমাদের সীমান্ত থেকেও গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যায়। একটা আতঙ্ক তো রয়েছে। আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ না, যুদ্ধ তাদের অভ্যন্তরীণ, কিন্তু আমাদের সীমান্তে এসে যখন এ যুদ্ধের গোলাগুলির আওয়াজ এখানে চলে আসে, তখন স্বাভাবিক কারণে একটা ভয়ভীতি আমাদের নাগরিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ বিষয়েতে তাদের হস্তক্ষেপ আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে চীন যে উন্নয়ন করছে, এগুলো বিশেষ করে বলেছি, আমাদের সব প্রকল্প, মেগাপ্রকল্প বেশিরভাগ করে ফেলেছি। একটা প্রকল্প অনেক আগে শেষ হওয়ার কথা, সেটা চীনা বিআরটি প্রকল্প, এটা দ্রুত শেষ করার জন্য দেশটির রাষ্ট্রদূতকে বলেছি। আমাদের কোনো প্রকল্পে এতো দেরি আর হয়নি।’

আরও খবর

🔝