gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
কেশবপুরে ক্লিনিকে সিজারের পর রোগীর মৃত্যু
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪, ০৮:৩৩:০০ পিএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-02-01_65bbac696d4b1.jpg

যশোরের কেশবপুরের একটি ক্লিনিকে সিজারের পর শম্পা খাতুন নামে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর হাসপাতালের যাবতীয় অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার ক্রিস্টাল ডায়গনস্টিক এন্ড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। মৃত শম্পা খাতুন উপজেলার হাসাডাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
ক্রিস্টাল ডায়গনস্টিক এন্ড হাসপাতালের ম্যানেজার শফিকুর রহমান জানান, জুয়েল নামে এক ব্যক্তি দু’দিন আগে রোগী শম্পা খাতুনকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রোগীর সিজার করার দু’ঘন্টা পর তার অবস্থা খারাপ হয়। পরে রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়। কিন্তু পথিমধ্যে রোগী মারা যায়। রোগীর স্বজনদের দাবি ক্রিস্টাল ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতালের মধ্যেই রোগী মারা গেছে। তারা দায়ভার এড়াতে খুলনায় নিয়ে যাবার নাটক করেছে।
নিহতের স্বামী শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ডাক্তারের অবহেলার কারণে তাার স্ত্রী মারা গেছে।
এ বিষয়ে কেশবপুর থানা হেলথ অফিসার (টিএইচও) ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, রোগীর অপারেশন করার সময় ক্রিস্টাল ডায়গনস্টিক এন্ড হাসপাতালের যাবতীয় নিয়ম-কানুন মেনেই তারা অপারেশন করেছিল এবং রোগির অপারেশন ছিল তৃতীয় স্টেপ। সেখানে এনেসথেসিয়া ডাক্তার অপারেশন করার সময় উপস্থিত ছিলেন। আমার জানা মতে পোস্ট একলামশিয়া হলে এই রোগী বাঁচানো খুব কঠিন হয়ে যায়।
এ ঘটনায় কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন ডাক্তার আহসানুল মিজান রুমি, ডাক্তার আয়েশা আক্তার এবং ডাক্তার তুহিন পারভেজ জুয়েল।
তিনি সিভিল সার্জনকে অবহিত করে ক্রিস্টাল ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতালের যাবতীয় অপারেশন বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।

আরও খবর

🔝