gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ সামনে রমজান

যশোরে প্রতি কেজি ছোলায় বেড়েছে ১০ টাকা
প্রকাশ : শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি , ২০২৪, ১০:২৭:০০ পিএম , আপডেট : বুধবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২৪, ০৩:০১:২৯ পিএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-01-26_65b3de8a2941b.jpg

পবিত্র রমজানের দেড় মাস বাকি থাকতেই যশোরের বাজারে বেড়েছে ছোলার দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানেই কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। বিক্রেতারা আমদানি স্বল্পতার কথা জানালেও রমজান মাসের জরুরি নিত্যপণ্যর বিষয়ে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতাদের।
দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্যর ঊর্ধ্বগতিতে হাঁসফাঁস অবস্থা নিম্নআয়ের মানুষের। এরই মধ্যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতিটি নিত্যপণ্যর দাম। প্রতিদিনই কোন না কোন পণ্যর দাম বাড়ছে। বাজারে কোন পণ্য স্বস্তি নেই। তারমধ্য পবিত্র রমজান মাস আসন্ন। আতঙ্ক বিরাজ করছে ক্রেতাদের মধ্যে। এরই মাঝে কেজিতে দশ টাকা বাড়লো ছোলার দাম। প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে। বেড়েছে আটার দামও। কেজিতে বাড়লো পাঁচ টাকা। খোলা আটা ৫৫ টাকা ও প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায় ও প্যাকেট ময়দা ৭০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুগ ডালের অস্বাভাবিক দাম অব্যাহত রয়েছে। ১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে মুগ ডাল। বুটের ডাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে। মসুর ডাল ১১০ থেকে ১৪৫টাকা। ছোলার ডাল ৯০ থেকে ১১০টাকা। খোলা সয়াবিন তেল ১৭০টাকা কেজি। বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৫টাকা লিটার। লবন ৪০টাকা। চিনি ১৫০ থেকে ১৬০টাকা। বড় মাছ বাজার ভুজাপট্টির মুদি ব্যবসায়ী স্বপন রায় বলেন, সিন্ডিকেটগুলো এখন থেকেই দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা শুরু করেছে। যে দামে পণ্য কিনছি সে অনুযায়ী আমাদেরও বিক্রি করতে হচ্ছে। মুদি ব্যবসায়ী শান্তি সাহা বলেন, আমদানী পর্যাপ্ত নয়, তাই ছোলার দাম বেড়েছে। তবে রমজানে আমদানী বাড়লে এ অবস্থা থাকবে না। একই কথা জানান বাদল স্টোরের স্বত্বাধিকারী বাদল রায়।
আশ্রম রোডের কামাল মুস্তাফা বলেন, রমজান মাসে বাজারে স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে। প্রশাসনের কড়া নজরদারি প্রয়োজন। একই কথা জানান রেল রোডের জাহেদ আহমেদ। খড়কি এলাকার আবু হুরায়রা বলেন, আমার নিজস্ব রেস্টুরেন্ট আছে। প্রতিদিনই বাজার করতে হয়। বাজারে সবজির অভাব নেই, অথচ কি অস্বাভাবিক দাম। এবারে শীতকালীন সবজির যে দাম তা কোনভাবে মেনে নেয়া যায় না। অন্যদিকে এ সপ্তাহেও চালে অস্থিরতা অব্যাহত রয়েছে। মোটা চাল স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫২ টাকা কেজিতে। মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৪টাকা। সুপার মিনিকেট ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা। কাজললতা ৫২ থেকে ৫৮টাকা। আঠাশ ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা। বাসমতি ৭০ থেকে ৭৪ টাকা। নাজিরশাইল ৭২ থেকে ৮৮টাকা।
অন্যদিকে ভরা মৌসুমেও সবজিতে স্বস্তি নেই। শীতকালীন সবজিতে চড়া দাম অব্যাহত রয়েছে। ব্রুকলি ৬০টাকা। ক্যাপসিকাম ১৬০, মটরশুটি ১০০, ফুলকপি ও বিটকপি ৫০, শিম ৪০ থেকে ৬০ টাকা। টমেটো ৪০ থেকে ৫০টাকা, গাজর ৩০, মুলা ৪০, মেটে আলু ৬০, মিষ্টি আলু ৫০টাকা। বাধাকপি ২০, পেঁয়াজের কলি ৩০, লাউ ৬০, মান কচু ৫০, বেগুন ৭০টাকা। উচ্ছে ও কচুর মুখি ১০০টাকা। চিচিঙ্গা ৭০, কাচা কলা ও পেঁপে ৩০, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০টাকা। কচুরলতি ৬০, শসা ৪০ থেকে ৬০টাকা। কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০টাকা কেজি। আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে।
গত সপ্তাহে কেজিতে দশ টাকা কমলেও এ সপ্তাহে আবারও বাড়লো পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তাহে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০টাকা কেজিতে। আদা ২২০ থেকে ৩০০টাকা। জিরা ৮২০ থেকে এক হাজার দুইশ’ টাকা। এলাচ এক হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকা। লবঙ্গ এক হাজার ৬০০ থেকে দু’হাজার ২০০ টাকা। দারুচিনি ৪৫০ থেকে ৫০০টাকা। গোলমরিচ ৭০০ থেকে এক হাজার ২০০টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ডিম ৪৪ টাকা হালি। সোনালি মুরগির ডিম ৫২ টাকা। দেশি মুরগির ডিম ৬৪টাকা। হাঁসের ডিম ৭২টাকা। কোয়েল পাখির ডিম ১২ টাকা হালি। মাংসের বাজারে মুরগির বাড়তি দাম অব্যাহত রয়েছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০টাকা কেজিতে। সোনালী ও লেয়ার মুরগি ৩০০টাকা। দেশি মুরগি ৫২০ টাকা। গরুর মাংস ৭০০ টাকা। খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা। ইলিশ মাছ ৫০০ থেকে দু’হাজার ৫০০ টাকা।

আরও খবর

🔝