gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১০ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরি বন্ধ ছিল

যশোরে ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে হাড় কাঁপানো শীত
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি , ২০২৪, ১১:০৬:০০ এ এম , আপডেট : মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল , ২০২৪, ০৩:৪০:৪০ পিএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2024-01-09_659cdd171feba.jpg

ঘন কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল হাওয়ায় হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে যশোরসহ গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের জনজীবন। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। প্রয়োজন ছাড়া ঘর ছাড়ছেন না কেউ।
একইসাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। কোল্ড ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু, বয়োবৃদ্ধসহ সব বয়সি মানুষ।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১০০ শতাংশ। এর আগেরদিন সোমবার (৮ জানুয়ারি) ছিলো ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানিয়েছে আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে আগামী কয়েকদিন। সেইসঙ্গে তাপমাত্রা আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়াবিদরা ধারণা করেছে।
এদিকে, যশোরে সকাল ৮টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা সাড়ে ১১টায় তা বেড়ে দাড়ায় ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে সকাল থেকে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের জনজীবন। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। প্রচন্ড শীতের মাঝেও তদেরকে কর্মস্থলে যেতে হয়েছে। এছাড়া, প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ৯টার দিকে নদীতে কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে এ রুটে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়। এর আগে সকাল ৬টা থেকে এ রুটে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক সালাহউদ্দিন জানান, কুয়াশার ঘনত্ব কমে যাওয়ায় সকাল পৌনে ৯টায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এর আগে কুয়াশায় কিছুই না দেখতে পাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে সকাল ৬টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। এখন নদীপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের সিরিয়াল দ্রুত কমে যাবে।

আরও খবর

🔝