gramerkagoj
শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
গাজায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছে বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হবে কবে?
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর , ২০২৩, ১০:১৫:০০ পিএম
সম্পাদকীয়:
GK_2023-12-05_656f4cef2aa23.jpg

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১৬ হাজারে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৪২ হাজার। গাজা উপত্যকায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ হাজার ৮৯৯ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে প্রায় ৭০ ভাগ নারী ও শিশু রয়েছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
যুদ্ধবিরতির পর দক্ষিণ গাজায় স্থলপথে অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ অভিযানের সময় গাজায় হামাসের এক কমান্ডারকে হত্যার কথা নিশ্চিত করেছে তারা। রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ঘোষণা করে-ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় তাদের স্থল অভিযান প্রসারিত করছে। সাত দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি শেষে গত শুক্রবার থেকে আবারও গাজায় নির্বিচার বোমা হামলা চালানো শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এখন তারা গাজার দক্ষিণাঞ্চলে বিমান থেকে অনবরত বোমা ফেলছে। যুদ্ধের শুরুতে উত্তরাঞ্চলে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলিরা। ওই সময় সাধারণ মানুষকে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। তারা বলেছিল, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে চলে গেলে নিরাপদ থাকা যাবে। তবে এখন এই দক্ষিণাঞ্চলেই হামলা চালানো শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে সাধারণ মানুষের ব্যাপক প্রাণহানি হচ্ছে। গাজায় সাধারণ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যেসব বোমা ব্যবহার করছে সেগুলো তাদের সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন অভিযান চালায় হামাস। এরপরই গাজায় আগ্রাসন শুরু করে তেল আবিব। দেড় মাসের বেশি সময় ধরে চলা হামলায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে ৬ হাজারই শিশু। বাস্তুচ্যুত হয় উপত্যকার বেশিরভাগ মানুষ। গতকাল নতুন করে গাজায় যে হামলা শুরু হয়েছে তার হতাহতের তালিকা এর সাথে যুক্ত করলে তালিকা আরও দীর্ঘ হবে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাত্রাও আরও বাড়বে। এ অবস্থায় অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ জরুরি। তার জন্য বিশ্ব বিবেক যত দ্রুত জাগ্রত হবে, বিশ্ববাসীর জন্য ততোই মঙ্গল। এখন কবে বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হবে সেটিই বড় প্রশ্ন।

আরও খবর

🔝