হালি কইরে তেলের দাম বাড়ার পর পর সব কিচুতিই তাপ উইটেচে, বাজারে ডিমও পাছোয় নেই তাতে। ডিমির কতা উসাতিই মনে পইড়ে গ্যালো আমার এক ভাইপোর কতা। একদিন ব্যানবেলা তেমাতায় ডিম পরোটা নাস্তা কত্তিচি। ভাইপো আসতিই আশাসুকি তার জন্যিও অডার দিলাম। পাতে পরাটার পাশে ডিম ভাজি দেইকে ভাইপোর চোক ছলছল কইত্তেচে। গলায় স্বর ছ্যাও কইরে কলে পাতেত্তে ডিম সরায় নিতি। মনের দুক্কি ছ্যামড়াডা ডিম খাওয়া ছাড়ান দেচে। কেন ছাড়ান দেলে তা শুনতি তিক্কের কতা জানতি পারিলাম।
ভাইপোডা এক মাইয়ের পাল্লায় পড়িল। মাছুড়েরা যিরাম মশলা দিয়ে মাকায়ে চার ফেলায়ে ছিপ নিয়ে আয়েশ কইরে বসে। চারের গন্দোয় হুতোশে মাছ হুড়োয় আইসে বশশি গিলে ছিড়ে কাইটে যাওয়ার চিস্টা কইরেও পারেনা। বশশিয়ালা মাছটারে খেলায় খেলায় অবলাস্টে ড্যাঙায় টাইনে তোলে ভাইপোডার সিরাম দশা। মিটেমিটে কতা কইয়ে ভাইপোডারে উরাম বশশি গিলোয়ে খেলায় খেলায় ড্যাঙায় তুইলে নিজির পত মাইপেচে মাইয়েডা। সেইত্তে ভাইপো ডিম খাওয়াতো দূরির কতা, ডিমির নামই শুনতি পারেনা। কারনডা হচ্চে ছ্যাকা দিয়া মাইয়েডার নাম ছিলো কুসুম। তাই ভাইপোর ডিমি এতো অনীহা!
ম্যালাদিন ধইরে শুইনে আসতিচি কাউরে সাইজ করার হুমকি দিতি ‘ডিম থিরাপী’  দিয়ার কতা কওয়া হইতো। ডিমির দাম যেভাবে চো চো কইরে বাড়চে তাতে আমাগেরও থিরাপীর কাছাকাছি যাওয়ার জুগাড়। মুরুব্বীরাই ভালো কতি পারবেন পোবাদডা কিডা চাউর করিলো, ‘ডিম পাড়ে হাসে, খায় বাগডাসে’। একন চারিদিকি বাগডাস ঘুইত্তেচে। ডিমির বাজারও বাগডাসগের দকলে। নানা উসলোতের আবডালে নিজস্বাত্ত। তারা ককনো নিজিগের দরকারে দাম কুমায় দেই, যাতে কুচো খামারিরা  দাম না পাইয়ে কম দামে বেইচে পতে বইসে যায় আবার যকন তাইগের হাতে সব মাল চইলে আসে তকনই আবার দাম বাড়ায় দিয়ে গাটি জব্দ করে। একন যিরাম দাম বাইন্দে দিয়ার ফান পাইতেচে। সব কিচু তাইগের স্বাত্তে। মত্তি মরন সানাইদারের মতো যারা আমার মতো ছাপুষা মানুস তাইগের।
ডিমির দাম যে হারে বাড়চে মনে হচ্চে দিন আনি দিন খাই কওয়া বাদ দিয়ে কতি হবেনে ডিম আনি ডিম খায়। আলাম কনে, মলাম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা