gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
বিশ্ব ক্লাবফুট দিবস-২০২১
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ৩ জুন , ২০২১, ১২:০৬:৫৬ এ এম
ডাঃ এ, এইচ, এম, আব্দুর রউফ:
1622657263.jpg
“ক্লাবফুট” বা মুগুর পা শিশুদের জন্মগত ত্রুটি সমূহের মধ্যে অন্যতম। এটি জন্মগত শারীরিক বিকৃতি যেখানে শিশুদের পায়ের পাতা ভিতরের দিকে মোচরানো থাকে। পৃথিবীতে প্রতি ১০০০ জন শিশুর মধ্যে ০১ জন শিশু ক্লাবফুট নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ৪০০০ জন শিশু ক্লাবফুট বা মুগুর পা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। অনেকের ধারণা এ রোগটি মা/বাবারকোন কর্মের ফসল যার ফলে মা/বাবা বা তার সমগ্র পরিবার সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়ে থাকে। এ ধরণের ধারণা সম্পূর্ণ ভূল বা কল্পনাপ্রসু।এ শিশুরা এভাবেই বাকা পা নিয়ে বেড়ে উঠে, খেলাধুলা করতে পারে না। কোন চাকুরীও তাদের ভাগ্যে জোটেনা। ফলশ্রুতিতে তার মা/বাবা তথা সমাজের বোঝা হয়ে থাকে।অস্ট্রেলিয়া সরকারের সম্মাননা প্রাপ্ত বিশিষ্ট সমাজ সেবক মিঃ কলিন ম্যাকফারলেন এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়“দ্য̈া গ্লেনকো ফাউন্ডেশন” বাংলাদেশে ক্লাবফুট শিশুদের চিকিৎসা ও পূণর্বাসনের উদ্দেশ্যে “ওয়াক ফর লাইফ” প্রকল্প চালু করে। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাঃ এ, এইচ, এম, আব্দুর রউফ, সহযোগী অধ্যাপক (অর্থো- সার্জারী) এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি উদ্বোধনের পর হতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ২৮,৬০০ জন শিশুর ক্লাবফুট পায়ের চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে সহায়তা করছে। প্রতি বছর ৩ জুন বিশ্ব কা¬বফুট দিবস হিসাবে পালন হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এবছরও সারা বিশ্বের সাথে সাথে অর্থোপেডিক সার্জারী বিভাগের উদ্যোগে এবং “দ্য̈া গ্লেনকো ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ দিবসটি পালনকরা হচ্ছে।  বর্তমান বৈশ্বিক করোনা মহামারীকে সামনে রেখে এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ধরা হয়েছে “করোনামহামারীতে নিরাপদ থাকুন, ক্লাবফুট শিশুদের ব্রেসব্যবহার নিশ্চিত করুন”। বিশ্বে প্রতিবৎসর ১-২ % শিশু বাঁকা পা নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে। এর শতকরা ৮০ ভাগ উন্নয়নশীল বিশ্বে। এদের বেশীর ভাগই বিনা চিকিৎসায় পঙ্গুত্ব নিয়ে বেচে থাকে। অনেকের ধারণা এটা আল্লাহর আর্শিবাদ পুষ্ট- একে চিকিৎসা করা ঠিক না বা চিকিৎসায় ভাল হয় না। সঠিক চিকিৎসায় এটা যে একেবারে ভাল হয় এ ধারণা অনেকেরই নাই। ডেলিভারির পর জন্মগত বাকা পামনে হলে সাথে সাথে এর চিকিৎসা শুরু করতে হবে। প্রকার ভেদে চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে দীর্ঘ মেয়াদী হতে পারে। প্রথমে আমরা সপ্তাহ অন্তর ৫-৭ টা প্লাষ্টার করি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্লাষ্টার শেষে অপারেশন করি। এতেই অধিকাংশ শিশু ভাল হয়ে যায়। বর্তমানে “পনসেটি” প্লাষ্টার ম্যানেজমেন্ট একটি নন্দিত বিশ্বমানের চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে অপারেশনের প্রয়োজন হয় না বলা চলে।এধরণের চিকিৎসা করেন অর্থোপেডিক ও পেডিয়েট্রিক সার্জনরা। ম্যাসেজঃ * সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসায় জন্মগত বাকা পা ভাল হয়। * জন্মের পর প্রত্যেক বাচ্চার চেকআপ করে সঠিকব্যবস্থা করা প্রয়োজন। * “করোনা মহামারীতে নিরাপদ থাকুন, ক্লাবফুটশিশুদের ব্রেস ব ̈বহার নিশ্চিত করুন”।লেখক:সহযোগী অধ্যাপক (অর্থো-সার্জারী)ডাঃ এ, এইচ, এম, আব্দুর রউফ

আরও খবর

🔝