gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১০ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
২ লাখ খামারিকে প্রণোদনা দেয়া হবে
প্রকাশ : রবিবার, ৯ মে , ২০২১, ০৭:৪৩:৫৩ পিএম
ঢাকা অফিস:
1620568225.jpg
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ২ লাখ খামারিকে প্রায় ২৯২ কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।রোববার বেলা ১২টায় মন্ত্রীর দপ্তরে করোনা সংকটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গৃহীত কার্যক্রম ও সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, ‘মাছ, মাংস, দুধ, ডিম শরীরের পুষ্টি ও আমিষের জন্য প্রয়োজনীয়। সেজন্য আমরা গতবছর ভ্রাম্যমাণভাবে এসব পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করেছিলাম। গত বছর ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকার পণ্য ভ্রাম্যমাণভাবে বিক্রি করতে পেরেছি।’তিনি আরো বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প থেকে প্রায় ৪ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত খামারিকে প্রায় ৫৫৪ কোটি টাকা নগদ আর্থিক সহায়তা ইতোমধ্যে দেয়া হয়েছে এবং আরো প্রায় ২ লাখ খামারিকে প্রায় ২৯২ কোটি টাকা আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে সরকার ঘোষিত চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার কার্যক্রম বিশেষ করে সম্প্রসারণ, কৃত্রিম প্রজনন, টিকাদান, চিকিৎসা, পরামর্শ সেবা প্রদান এবং সরকারি খামারে রেনু-পোনা উৎপাদন ও সরবরাহ, হাঁস-মুরগী ও গবাদি পশুর বাচ্চা উৎপাদন ও বণ্টন অব্যাহত রাখা হয়েছে। জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে সকল কার্যক্রম মনিটর করা হচ্ছে এবং উদ্ভূত সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে।’মন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রাণিজ পণ্য আমদানি-রপ্তানি সচল রাখার জন্য এ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল ল্যাব চালু রাখাসহ সকল প্রকার পরীক্ষা ও পরিদর্শন কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। বাজারদর স্থিতিশীল রাখা এবং সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখার জন্য বিশেষ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে খামারিদের সরাসরি বাজার ব্যবস্থার সাথে সংয্ক্তু করা হয়েছে।’তিনি জানান, ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে গত ৫ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত প্রায় ২২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকার মাছ, ডিম, দুধ এবং মাংসসহ দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি হয়েছে। গত একমাসে সারাদেশে প্রায় ১৮ হাজার ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র পরিচালনা করা হয়েছে। প্রতি জেলায় প্রতিদিন গড়ে ১০টি করে ভ্রাম্যমান গাড়ি ভাড়া করে এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। ঢাকা শহরে ৩০ স্পটে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, সোনালি মুরগী প্রতি কেজি ২১০ টাকা, ব্রয়লার প্রতি কেজি ১২০ টাকা, ডিম প্রতিটি ৬ টাকা এবং প্যাকেট দুধ প্রতি লিটার ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

আরও খবর

🔝