gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৪ চৈত্র ১৪৩০
gramerkagoj
লেখক মুসতাকের মৃত্যুর ঘটনায় শাহবাগ অবরোধ ছাত্রকর্মীদের
প্রকাশ : শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি , ২০২১, ০১:২৮:৫৪ পিএম
ঢাকা অফিস:
1614324554.jpg
কারাবন্দী অবস্থায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক লেখক মুসতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রীয় হত্যাকান্ড’ দাবি করে এর প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয়েছেন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এখান থেকে অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানানো হচ্ছে।কয়েকটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি কয়েকটি এলাকা ঘুরে শাহবাগে যেয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে।বিক্ষোভ চলাকালে বক্তৃতা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দীন এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের দপ্তর সম্পাদক রাজেন্দ্র চাকমা।বক্তারা বলেন, লেখনীর মাধ্যমে দুর্নীতি-লুটপাটের প্রতিবাদ করেছিলেন লেখক মুসতাক। তিনি সাধারণ মানুষের পক্ষে, অব্যবস্থাপনা-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন। সে কারণে কারাগারে আটকে তাকে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি ছয়বার জামিনের আবেদন করলেও তা নির্বিকারভাবে নাকচ করা হয়েছে। সরকার মানুষের অধিকারকে অস্বীকার করার জায়গায় চলে গেছে। মুসতাকের মৃত্যুকে বক্তারা নির্মম রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড বলে অভিহিত করেছেন।বক্তারা বলেন, ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে দেশে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে নির্মমভাবে দমন করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো কালা আইনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে। বক্তারা অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান। লেখক মুসতাক আহমেদ (৫৩) বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান। তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে ছিলেন। সেখানে সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে কারা হাসপাতালে নেয়া হয় বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়। সেখান থেকে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গত বছরের মে মাসে লেখক মুসতাক আহমেদ, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। র‌্যাব তাদেরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। সেই মামলায় দু’জন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু, লেখক মুসতাক ও কিশোরের জামিন আবেদন ছয়বার নাকচ হয়।

আরও খবর

🔝