gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ চৈত্র ১৪৩০
gramerkagoj
রাজশাহী হাসপাতালে বাড়ছে করোনা রোগীর চাপ, ২৪ ঘন্টায় ১৮ জনের মৃত্যু
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই , ২০২১, ০৪:৩৬:৫৯ পিএম
হাফিজুর রহমান পান্না, রাজশাহী ব্যুরো ::
1625740830.jpg
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একের পর এক ওয়ার্ডকে কোভিড ডেডিগেটেড ওয়ার্ডে রুপান্তর করেও করোনা রোগীর চাপ সামাল দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। সেন্ট্রাল অক্সিজেনের সংযোগ দিয়ে হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা যতোই বাড়ানো হচ্ছে, অক্সিজেনের ততোই চাপ বাড়ছে। অবস্থা এমনই দাড়িয়েছে, অক্সিজেন দেওয়ার ভুক প্রয়োজন না হলে বেডের অভাবে করোনা রোগীকে ভর্তি করা হচ্ছে না হাসপাতালে। ফলে হাসপাতালে ভর্তির আগে জরুরি বিভাগের বারান্দাতেই অক্সিজেনের অভাবে প্রাণ যাচ্ছে অনেকের।এমন পরিস্থিতিতেও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। গত কয়েকদিনের চেয়ে শহরের রাস্তায় মানুষের চলাচল অনেক বেড়েছে। প্রয়োজন ছাড়াই অনেক মানুষ জটলা করছে যেখানে সেখানে। অনেকেই দোকানের কিছুটা খুলে রেখে ব্যবসা করছে। রাজশাহী জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত কিংবা সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের টহল দল মাঠে নামলে নিমিষেই আধখোলা দোকান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সটকে পড়ছে জটলা করা মানুষ। লকডাউনকে ঘিরে চোর-পুলিশের এই খেলায় প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম।লকডাউনকে ঘিরে এমন পরিস্থিতিকে দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শামীম ইয়াজদানী জানান, সরকার ১৪ দিনের যে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে, সেই ১৪ দিন আমরা সবাই যদি বিধিনিষেধগুলো মেনে চলতাম, তাহলে করোনায় এতো মৃত্যু ও শনাক্ত আমাদের দেখতে হতো না। এই হার অনেক নীচে নেমে আসতো।তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকাল আটটা থেকে আগের ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নতুন করে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে আটজন পজিটিভ হয়ে, নয়জন উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। উপসর্গ নিয়ে মৃত অপর একজনের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। করোনা পজিটিভ হয়ে মৃত আটজনের মধ্যে চারচনের বাড়ি রাজশাহীতে। অন্য চারজন চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত নয়জনের মধ্যে রাজশাহীর পাঁচজন, নওগাাঁর দু’জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন ও নাটোরের একজন। এছাড়া করোনা ইউনিটে মৃত যে একজনের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে, তার বাড়ি নাটোর জেলায়। করোনা ইউনিটে মৃত ১৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন ও নারী চারজন। এদের মধ্যে আটজনের বয়স ৬১ বছরের উপরে। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন এবং ৪১ থেকে ৫০ বছরের দু’জন আছেন।পরিচালক জানান, ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৭০ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৮ জন। বর্তমানে ৪৫৪টি করোনা বিশেষায়িত বেডের বিপরীতে ৪৮৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।এদিকে জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার জেলার এক হাজার ৪৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ। একদিনে শনাক্ত কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন মঙ্গলবারের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

আরও খবর

🔝