প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১০ জুন , ২০২১, ০৫:৩৪:২৫ পিএম
বলতে হয়, সেই কবিতা, আসমানিদের দেখতে যদি তোমরা সবে চাও, রহিম উদ্দিনের ছোট্র বাড়ি রসুলপুরে যাও।। সেই রসুলপুরের রহিম উদ্দিন নয় দেখতে হবে আতুলীর বাড়ী।ঝরি-বাতাস আসলে দৌড় দ্যাম মানসের বাড়িত এ কথাগুলি সাদুল্লাপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ছান্দিয়াপুর বসনিয়া পাড়া গ্রামের ৪০ উর্দ্ধো বয়সের ভিক্ষুক বিধবা আতুলী বেওয়ার। স্বামী সোলেমান মরে গিয়ে চলে গেছেন পরপারে। তাদের দাম্পত্য জীবনে রয়েছে দুটি কন্যা সন্তান। অবশ্য তাদের বিয়েও হয়েছে আবার মানসিক প্রতিবন্ধী দুব্যক্তির সংগে। স্বামী সন্তানবিহীন আতুলী বসবাসের জন্য মানুষের কাছ থেকে চেয়ে ভিক্ষা করে ভাঙ্গা চুড়া টিন আর পলিথিনের ছোট্ট একটি কুড়ে ঘর । জরাজীর্ণ এ ঘরেই তার বসবাস। আকাশের মেঘ দেখলে আতঙ্ক বিরাজ করে তার মনে। একটু ঝড়-বৃষ্টি আসলেই দৌড় দিতে হয় অন্যের বাড়িতে। এছাড়া রান্না ঘর, টিউবয়েল-টয়লেটও নেই তার। খোলা আকাশের নিচে রান্নাবান্না সারতে হয় আতুলীকে। সহায় সর্বশ হীন ভিক্ষুক পেটের তাগিতে ছুটে মানুষের দুয়ারে। ভিক্ষুক আতুলী দিনশেষে যেটুকু রোজগার হয়, তা দিয়ে পেট পুড়ে খেতে হয়। মাসে একদিনও খেতে পারে না মাছ-মাংশ। সারাদিন পরিশ্রম করে রাতে একটু ভালোভাবে ঘুমাতে পারে না। কারণ একটাই, ভাঙাচুরা ঘর। কখন দুর্যোগ উঠে এমন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটে তার। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পলিথিন ঘরে বসবাস করে আসছে আতুলীর পরিবারটি।